চকরিয়ায় জনদুরত্ব বজায় রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা মাঠে

fec-image

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সর্বস্তরের জনগনের সুরক্ষা নিশ্চিতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা জনপদের গ্রাম থেকে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে জনদুরত্ব বজায় রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাঠে কাজ শুরু করেছেন সেনা বাহিনীর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইউএনও নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের দিকনির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা মাঠে নজরদারি শুরু করেছেন।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সপ্তাহকাল আগে থেকে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে উপজেলা ও পৌরসভার প্রতিটি জনপদে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সংক্রমণ সময়ে চালসহ নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ইউএনও শিবলী নোমান ও সহকারী কমিশনার মো. তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত চকরিয়া উপজেলাজুড়ে ধারাবাহিক শুদ্ধি অভিযানে রয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলাম, চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান এবং ওসি তদন্ত একেএম সফিকুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষথেকে জনসচেতনতামুলক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষথেকেও চলছে বাজার মনিটরিং। সর্বশেষ সরকারি নির্দেশনার আলোকে বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার প্রতিটি জনপদে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীর সদস্যরা শুরু করেছেন সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং।

সেনাবাহিনীর সদস্যরা গতকাল থেকে উপজেলার প্রতিটি জনগুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে মাইকিং করে জনগনের জটলা বন্ধ করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনগনের সুরক্ষা নিশ্চিতে জনদুরত্ব বজায় রাখতে কাজ করছেন সেনা সদস্যরা।

অপরদিকে সরকারি নিদের্শনার আলোকে মরণব্যাধী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সবধরণের দোকানপাট বন্ধ থাকবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। তবে সর্বস্তরের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে জরুরী প্রয়োজন থাকায় প্রতিটি জনপদে খোলা থাকবে ঔষধ, মুদির খাদ্যদ্রব্য দোকান। বুধবার থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও আভ্যন্তরিণ সবসড়কে কমে গেছে সবধরণের যানবাহন চলাচল।

উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষথেকে সদ্য বিদেশ হতে আগত ব্যক্তি ও সন্দেহভাজন আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান নিশ্চিত করতে এবং করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে গুজব ঠেকাতে পুলিশের এসব ইউনিট কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

একইসঙ্গে করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করে চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার প্রতিটি জনপদে যাতে কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য অবৈধভাবে মজুদ করতে না পারে, পন্যবিক্রিতে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিতে না পারে সেইজন্য প্রশাসন নজরদারী চালাচ্ছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চকরিয়ায়, ম্যাজিস্ট্রেটের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন