চৌদ্দগ্রাম ট্র্যাজেডি: কাতার নয়; চলে গেলেন না ফেরার কাতারে

 

Capture
স্টাফ রিপোর্টার :

কাতার যাওয়া হলোনা আবু তাহের, মোহাম্মদ ইউসুফ ও রাশেদুল ইসলাম বাদশা’র। দুর্বৃত্তের ছোড়া পেট্টোল বোমায় দগ্ধ হয়ে না ফেরার কাতারে চলে গেলেন তারা। মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে তিনটায় কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে আইকন ট্রাভেলের একটি বাসে পুড়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নিহত তিনজনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়। এছাড়া অগ্নিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন চকরিয়ার আরও ৪ জন। মর্মান্তিক এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন বাবর জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিমান বন্দর থেকে আবু তাহের, মোহাম্মদ ইউছুফ ও রাশেদুল ইসলাম বাদশাসহ চার জন কাতার যাওয়ার কথা ছিল। তাদেরকে ঢাকা পৌঁছিয়ে দেয়ার জন্য সাথে যাচ্ছিলেন ইউছুফের ভাই মোহাম্মদ হানিফ (২৫)। সোমবার দিবাগত রাত ১০টায় চকরিয়া বাস স্টেশন থেকে আইকন ট্রাভেলের ওই বাসে তারা যাত্রা শুরু করেন।

বাসটি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম পৌঁছলে এ নাশকতার শিকার হয়। আবু তাহের, মোহাম্মদ ইউছুফ ও রাশেদুল ইসলাম বাদশা ঘটনাস্থলেই মারা যান। দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ হানিফ সহ চকরিয়ার আরও চারজন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।আহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

চেয়ারম্যান আরো জানান, নিহতদের দু’জনের বাড়ি তার ইউনিয়নে। তারা হলেন-হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং গাইয়াপাড়ার বাসিন্দা ছিদ্দিক আহমদের ছেলে আবু তাহের (৪০) ও ছালেহ আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ইউছুফ (৫০) ও পেশায় সবাই কৃষক ছিলেন। আবু তাহের এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ইউছুফের সংসারে রয়েছে দুই মেয়ে ও তিন ছেলে।

অপরদিকে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রভাস চন্দ্র ধর জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় বরইতলীর গবিন্দপুরের মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র রাশেদুল ইসলাম বাদশাও (২৭) মারা গেছেন।রাশেদুল ইসলাম বাদশা এখনো অবিবাহিত।

চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বাবর জানান, ঘটনার খবর শুনেই আমরা নিহতের পরিবারে যায়। পরে স্থানীয় কয়েকজনকে লাশের জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে দুই পরিবারকে ২৫ কেজি করে ইউনিয়ন পরিষদ ত্রাণ তহবিল থেকে দেয়া হয়।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন