জিপিএ-৫ নয়, শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুধুমাত্র জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে উচ্ছাস প্রকাশ না করে শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোরে পরামর্শ দিয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে যেতে হবে। পাঠদানের যথাযথ মুল্যায়ন করতে হবে। সার্টিফিকেট নির্ভরশিক্ষার পরিবর্তে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা নয় সুশিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবেই শিক্ষার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্সার্থীদের সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনমুখী শিক্ষার দিকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়ে কংজরী চৌধুরী বলেন, কারিগরী শিক্ষা জীবন বদলের হাতিয়ার হতে পারে। বর্তমান সরকার শিক্ষার মান বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মনির হোসেন‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক ও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন লিটন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুবাস চাকমা, বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান প্রমানিকও বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিক্ষাকে পন্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শুধুমাত্র শিক্ষক হলেই হবে না, শিক্ষককে অবশ্যই মেধাবীও হতে হবে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে মাটিরাঙ্গায় শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ সরকার জনগণের জন্য দিবেদিত।
অনুষ্ঠানের শেষে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। পরে তিনি গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রস্তাবিত জায়গা ও গোমতি বাজার পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি গোমতি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ দানেরও আশ্বাস দেন।