পার্বত্য এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজগুলোকে চলাচল উপযোগী করতে হবে : সংসদীয় কমিটি
পার্বত্য এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজগুলো চিহ্নিত করে এগুলো চলাচল উপযোগী করতে হবে বলে একমত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এছাড়া সংসদীয় কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেশের পার্বত্য এলাকায় হেলিকপ্টার সরবরাহ ও সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব পালনের জন্য পাহাড়ে চলাচল উপযোগী মানসম্মত গাড়ি এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পাহাড়ে চলাচল উপযোগী অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করার সুপারিশ করেছে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সব সুপারিশ করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এক বছর পর মঙ্গলবার বৈঠক করলে এই সংসদীয় কমিটি। প্রতিমাসে একটি বৈঠক করার কথা থাকলেও গত বছর কোনো বৈঠকই করেনি এই কমিটি, যা গণমাধ্যমে এসেছে।
বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় জনসংখ্যার ভিত্তিতে না করে দূরত্ব বিবেচনায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের সব বিদ্যালয়কে স্কুল ফিডিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, দীপংকর তালুকদার, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং বাসন্তী চাকমা বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রাউজান থেকে রাঙামাটি শহর পর্যন্ত চার লেনের সড়ক করার সুপারিশ করেছে এ কমিটি।
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি, জনবল কাঠামো, প্রকল্প পরিচালকগণের মেয়াদকাল, ব্যবহৃত যানবাহন ও ইকুইপমেন্ট সমূহের যথাযথ ব্যবহার; পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে পর্যটন শিল্পকে ত্বরান্বিত করার জন্য তিন জেলায় তিনটি ইকো পার্ক স্থাপন; তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃঙ্খলা ও করোনা সর্বশেষ পরিস্থিতি; রাউজান ঢালাইর মুখ থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত পাকা রাস্তা ৪(চার) লেনে রূপান্তরকরণ এবং তিন পার্বত্য জেলায় কক্সবাজারের ন্যায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. দবিরুল ইসলাম শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় তাঁর অনুরোধে কমিটির সিনিয়র সদস্য এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকটি সম্পন্ন হয়।