টানা বর্ষণে বন্যা ও পাহাড় ধসে পুরো খাগড়াছড়ি লন্ডভন্ড
পাঁচ দিনের টানা বর্ষনে বন্যা ও পাহাড় ধসে পুরো খাগড়াছড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে গ্রামীণ সড়ক, কালভার্ট ও কৃষি জমি চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড় ধসে প্রানহানির আশঙ্কায় সাজেকসহ পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমনে সর্তকতা জারি করেছে প্রশাসন।
এদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মাইনী নদীর ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ২৫ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ ৬ দিন ধরে পানিবন্ধি অবস্থায় মানবেতর জীবন পার করছে। ১২ টি আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে তিন শতাধিক পরিবার। দীঘিনালার মেরুং এলাকায় সড়কে পানি উঠায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সাথে রাঙামাটির লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পানছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি সরে যাওয়ায় আশ্রয় শিবির ছেড়ে লোকজন বসতবাড়িতে ফিরে গেছে। তবে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ। অপর দিকে বর্ষনে পাহাড় ধসে জীবন হানির আশংকায় সাজেকসহ খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে শুক্রবার থেকে ভ্রমণে সর্তকতা জারি করেছে প্রশাসন। ফলে পর্যটন স্পটগুলো এখন পর্যটক শুন্য।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ি সদরের মধুপুর বাজার, জিরোমাইল, পানছড়িসহ বেশ কয়েকটি স্থানে গ্রামীণ সড়ক, কালভার্ট ও কৃষি জমির চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে সাথে ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ। খাগড়াছড়ি জেলায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।