টেকনাফে আ.লীগের কমিটিতে পদ পেতে হাইব্রিড ও বিদ্রোহীরা তৎপর

fec-image

কক্সবাজার টেকনাফের সাবরাং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নতুন কমিটিতে পদ পেতে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থিতরা তৎপর। জোর তদবির করছে হাইব্রিড ও বিএনপি ঘরানার লোকজন। এমনকি চিহ্নিত রোহিঙ্গারাও আওয়ামী লীগ বনতে চাচ্ছে। এসব অভিযোগ দলীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের। এ নিয়ে তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জুলাই সাবরাং ইউনিয়নের ১, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড এবং ১৮ জুলাই ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মামলা, হামলার শিকার, পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীরা কাউন্সিলর তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে। স্থান পাচ্ছে বিতর্কিতরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক আলহাজ্ব সোনা আলী বলেন, ‌‌‌‌বিগত নির্বাচনের যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে ছিল তাদেরকে বিভিন্ন পদে আনতে নগ্নতার আশ্রয় নিয়েছেন স্বয়ং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান নৌকার বিদ্রোহী। তারাও প্রকৃত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর ও সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বিতর্কিত হলেও তাদের পছন্দের প্রার্থীকে পদ পাইয়ে দিতে টাকা বিনিয়োগ করছে।

তিনি বলেন, যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে, জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা এভাবে অবমূল্যায়িত হলে আগামীতে প্রকৃত আওয়ামী লীগ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সুবিধার জন্য বিদ্রোহীদের পক্ষে চলে যাবে।

যারা দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা মানছেনা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি চান আলহাজ্ব সোনা আলী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবরাং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াপাড়ায় আওয়ামী লীগের পদে চিহ্নিত বিএনপি প্রয়াত এজাহার মেম্বারের পরিবারের সদস্যদের কমিটিভুক্ত করার পাঁয়তারা চলছে।

চিহ্নিত রোহিঙ্গা, হাইব্রীড ও বিদ্রোহীরা কমিটিতে ঢুকতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে।

মিস্ত্রীপাড়া ও বাজারপাড়ার কমিটিতেও অনেক ত্যাগী, নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের স্থান হচ্ছে না।

হাইব্রীড ও বিদ্রোহীদের বাদ দিয়ে কমিটি করতে কেন্দ্রের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। গোপনে চলছে টাকার খেলা।

বিভিন্ন ওয়ার্ডে বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মদদপুষ্টরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রের নির্দেশ অগ্রাহ্য করায় সংঘাতের আশঙ্কা করছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

অভিযোগ তদন্ত ও তালিকা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে উখিয়া-টেকনাফের সাংগঠনিক টিম তথা শাহ আলম চৌধুরী, এইচএম ইউনুচ বাঙ্গালী, আবদুর রহমান বদি, মাস্টার জাহেদ হোসেন ও নুরুল বশরের সুদৃষ্টি কামনা করেছে নেতাকর্মীরা।

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাস্টার জাহেদ হোসেন বলেন, আমার জানা মতে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে রোহিঙ্গা নেই। বিএনপি আছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবুও তালিকা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন