তুলা চাষে সাফল্য পেয়েছেন পানছড়ির নিতুল চাকমা

COTTON_oo

উপজেলা প্রতিনিধি, পানছড়ি :

উঁচু গাছের ডাল থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখন আর তুলা সংগ্রহ করতে হয় না। তুলা চাষ এখন একটি সহজ লভ্য জিনিস হয়ে পড়েছে। বাড়ির পাশে পড়ে থাকা পতিত জমিতেও তুলা চাষ করে হাতে হাতে তুলা তোলা সম্ভব। ঠিক যেমনটি চাষে সফলতা পেয়েছেন নিতুল চাকমা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শান্তিপুর নবীন চন্দ্র পাড়া এলাকার ধর্ম সাধন চাকমার ছেলে নিতুল চাকমা ও তার মা তুলা ক্ষেতে হাতে হাতে তুলা তুলছেন। যা প্রাথমিক ভাবে দেখে বিশ্বাস হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অবাস্তবকে বাস্তব করেছে নিতুল। ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার গাছে থোকায় থোকায় বাদুর ঝোলা ঝুলে আছে তুলা। আর তুলা তুলে আচঁল বন্দী করছেন মা ও ছেলে।

নিতুল চাকমার সাথে এ ব্যাপারে আলাপকালে জানায়, তার ১৪ শতক জায়গায় জে-এ ০৮/সি লাইন ও জে-এ ০৮/ডি লাইন, সিবি-১২ এই দু’জাতের তুলা চাষ করেছেন। খাগড়াছড়ি তুলা উন্নয়ন বোর্ডে চাকুরীরত তার এক মামার মাধ্যমে চারা সংগ্রহ করে প্রথম বারের মত পরীক্ষামূলক চাষ করতে গিয়ে সফলতা পেয়েছে নিতুল। চারা ক্রয়ে তার কোন খরচ লাগেনি তবে জমিন তৈরী, শ্রমিক খরচ ও পানি সেচসহ সর্বমোট ছয় হাজার টাকা পূঁজি লেগেছে। বর্তমানে প্রায় ৩ মনের অধিক তুলা সংরক্ষণ করা হয়েছে। আরো প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার মন তুলা জমিনে রয়েছে বলে জানান।

প্রতি কেজি তুলা ১৬০ টাকা বিক্রি করলে ৩৮ হাজার চারশত টাকা হবে, খরচ বাদ দিয়ে তার প্রায় ৩০ হাজার টাকার অধিক লাভ হবে বলে জানান। এ তুলা থেকে উন্নত মানের সুতা তৈরী ছাড়াও লেপ, তোষক ও বালিশ তৈরীতে বেশ উপযোগী বলে জানা যায়। এলাকার অনেকেরই এ চাষ সম্পর্কে ধারনা নেই। ধারনা না থাকারই কথা কারণ অত্র পানছড়ি উপজেলায় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কোন অফিস বা কার্যক্রম নেই। এই আধুনিক তুলা চাষ সম্পর্কে এলাকার কৃষকদের যদি ধারণা দেওয়া হয় তাহলে অনেকেই পতিত জায়গায় তুলা চাষ করে নিতুলের মত স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন