দীঘিনালায় রমজানের কাঁচামাল ক্রেতার নাগালের বাহিরে
দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা বাজারগুলোতে রমজান উপলক্ষ্যে জিনিসপত্রের দাম দ্বি-গুন থেকে তিনগুন পর্যন্ত বেড়ে গেছে। যা সাধারন ক্রেতা ভুক্তভোগিদের নাগালের বাহিরে। পার্বত্য অঞ্চলের লোকজনের নুন-আনতে পানতা ফুরায়। এই অঞ্চলে নাই কোন মিল ফ্যক্টরি।
মানুষজন চাষাবাদ ও বন জঙ্গল থেকে কাঠ-লাকড়ি সংগ্রহ করে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। একমাত্র খয়রাতি গুচ্ছ গ্রামের চাল তাদের শেষ ভরসা, তাও আবার প্রতিমাসের রেশন প্রতি মাসে দেয়া হয় না। দুই-তিনমাস পর একসাথে দেয়া হয়ে থাকে। রমজান এলে বিশেষ করে পার্বত্যাঞ্চলের মুসমানরা বেশি বেকায়দায় পড়ে। বিশেষ করে কাঁচামালের দাম তীব্র আকারে বেড়ে যায়। এক সময় এই দীঘিনালার মাইনী নদীর দুই তীরে প্রচুর শাক-সবজি চাষ হত। এখন মাইনী নদীর দুই তীরে শাক-সবজির পরিবর্তে তামাক চাষ করা হয়। এর ফলে কৃষি ফসল উৎপাদন অনেকটাই কমে গেছে।
দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘরে দেখা যায় শাক-সবজির দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। তারমধ্যে পিয়াজ ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০টাকা, বেগুন ২০টাকা থেকে বেড়ে ৬০টাকা, শষা ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোলা, মুড়ি, রসুন, তেলসহ কাঁচা তরিতরকারি ও মাছ-মাংশের বাজার লাগামহীন ভাবে বেড়ে উঠায় হতাশ ক্রেতারা। যে সব দ্রব্য রমজান আসার আগেও সাধারন ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল রমজান আসাতে তা এখন ক্রেতার নাগালের বাহিরে চলে গেছে। স্থানীয় খুচরা ও পাইকারী বাজারের সব জিনিসপত্রে দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও সাধারন ক্রেতাগণ।
এদিকে পর্যাপ্ত মাছ সরবরাহ না থাকার কারনে সকল প্রকার মাছের দামও বেড়েছে কিছুটা। বাজার মনিটরিং’র দায়িত্বে থাকা দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল জাহিদ পাভেল বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে রাখতে পুরো মাস জুড়ে স্থানীয় বাজারগুলোতে মনিটরিং অব্যহত রাখা হবে।