নাইক্ষ্যংছড়িতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, বিদ্যুৎ নেই ৩ দিন যাবৎ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আমন ফসল, ফলজ ও বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বঙ্গপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাসে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের আমনধান, শীতের আগাম সবজি চাষ, ফলজ, বনজ বাগান লণ্ডভণ্ড হয়েছে। পাকাধান ও আধাপাকা ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ার ফলে কৃষকেরা এখন দিশেহারা।
উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কৃষক আবুল শামা, আবদুল কাদের, সুলতান আহমদ, মনিরুল হক সহ অনেকে জানান , এ বছর শেষের দিকে চাষাবাদ করলে ও ফলন হয়েছিলো অনেক সুন্দর। কিন্ত ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এ অধিকাংশ ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার পাচ ইউনিয়ন, বাইশারী, সোনাইছড়ি, দৌছড়ি, ঘুমধুম ও সদর ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারণে কৃষকের ক্ষতির পাশাপাশি সড়কের উপর গাছপালা পড়ে রয়েছে। ৩ দিন যাবত বিদ্যুৎ নেই। মানুষের বাড়ি ঘরের রক্ষিত ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
রাবার বাগান ম্যানাজার আল আমিন জানান, তার বাগানের অনেক গুলো রাবার গাছ ঙেগে গেছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে অনেকের বসতবাড়ির ছাউনি ঘেরাবেড়া উড়ে গেছে।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনিং মারমা জানান, ফসলসহ সবজি ও বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার ইমন বলেন, ফসলসহ ফলজ বনজ বাগান ও কিছু মানুষের ঘরের চাল বাতাসে উড়ে গেছে।
বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আবুল হাসেম জানান, এলাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেনি। তবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি বলেন, আমার এলাকায় রাবার বাগান, ফলজ বাগান, রবি শষ্যের প্রচুর পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
