নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৭ বাড়ি লকডাউন, ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকার কম্বোনিয়া গ্রামের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৮ বছর বয়সী নারীর সংস্পর্শ ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ওই এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত হওয়া নারীর সংস্পর্শের ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম। সংগ্রহকৃত রক্তের নমুনা একই দিনে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ (আইই‌ডি‌সিআর) ফিল্ড ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মো. ছলিম জানান, গত ২৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসে ২৮ বছর বয়সী এক নারী। দায়িত্বরত চিকিৎসক তার জ্বর ও সর্দি-কাশির কথা জানতে পেরে বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার উপসর্গ হিসেবে নারীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ (আইই‌ডি‌সিআর) ফিল্ড ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।

পরদিন ২৭ এপ্রিল ওই নারীর নমুনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তাকে তার নিজ বাড়ীতে এক রাত হোম কোয়ারোন্টতে রাখা হয়। পরদিন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। ওই করোনা শনাক্ত নারীর সংস্পর্শের ১৪ জনের ২৯ এপ্রিল (বুধবার) নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ডা. আবু জাফর মো. ছলিম।

এদিকে, করোনা শনাক্ত নারীর সংস্পর্শ ১৪জনসহ সর্বমোট ১১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, করোনা আক্রান্ত নারীর বাড়ির আশেপাশের যাতায়াতের সংস্পর্শ ব্যক্তিসহ গ্রামের ১৭ পরিবারের ঘর-বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। রোগীর বাড়ি ঘর নিরাপদ না থাকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়ার জন্য রাখা হয়েছে।

তাঁর পরিবারের সব সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং তাদের ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মে‌ডি‌কেল ক‌লেজের (আইইডিসিআর) ফিল্ড ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। নমুনার ফলাফল হাতে এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে ওই পরিবারে আর কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কি না।

তিনি আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত নারীর পরিবারসহ সংস্পর্শ ব্যক্তিদের লকডাউনে থাকার ফলে খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে কোন প্রকার খাদ্য সহায়তা ও চিসিৎসা সেবার প্রয়োজন হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে মোবাইলে জানাতে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়িতে, বাড়ি লক ডাউন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন