নানিয়ারচরে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ৮ নেতাকে অব্যাহতি

প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৮নেতাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৯ জুলাই) রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মুছা মাতব্বর স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও ও স্ট্যাটাস দেওয়ার ফলে দলীয় ভাবমূর্তি বিনষ্ট হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সাময়িকভাবে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মামুন ভূইয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবু জাফর খাঁ, ৩নং বুড়িঘাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিদুল, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন আলম, সদস্য শহিবুল ইসলাম, নানিয়ারচর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল মৃধা, ৩নং বুড়িঘাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুব লীগের সভাপতি হাফিজুর ও আওয়ামী লীগ কর্মী মো.নুরুজ্জামান।

হাজি মো. মুছা মাতব্বর স্বাক্ষরিত পৃথক এসব চিঠিতে জানা যায়, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মাঝে সৃষ্ট ঘটনা তদন্তের লক্ষ্যে ২ মে অনুষ্ঠিত রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.শাওয়াল উদ্দিনকে টিম প্রধান করে শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম সাঈদুল, সদস্য আশীষ কুমার নব কে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গত ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় উক্ত তদন্ত কমিটি নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মাঝে সৃষ্ট ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক সুপারিশক্রমে তাদের নিকট একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন।

ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও ও স্ট্যাটাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মামুন ভূইয়াসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মীরা জড়িত ছিলেন।

ফলে এসব বিভ্রান্তিমূলক স্ট্যাটাস ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদারকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।

এমতাবস্থায়, অদ্য ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভবিষ্যতে যাতে সংগঠনের ক্ষতিকারণ ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী আর কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে ওই ৮জন নেতাকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।