পাঁচমাস কারাভোগের পর জেল থেকে মুক্ত পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান

fec-image

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামিন আবেদন বহালের প্রেক্ষিতে অবশেষে পাঁচমাস কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জেলমুক্ত হয়েছেন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কক্সবাজার কারাগার থেকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে তিনি বের হন। ওইসময় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও নগদ ১৭ লাখ টাকাসহ পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ওই ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে। ওই মামলায় ১৫ দিন কারাবন্দী থাকার পর জামিনে মুক্তি পান জাহাঙ্গীর আলম।

পরবর্তীতে ওই মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম চলতি বছরের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উপজেলা পরিষদের শপথ নিয়ে তিনি দুইদিন কর্মদিবস পালন করেন। তৃতীয় দিনের মাথায় গত ৯ মে অস্ত্র মামলার রায় শুনানী হয় কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। আদালত দুইটি পৃথক অভিযোগপত্রে জাহাঙ্গীর আলমকে ১৪ বছর ও ৭ বছর সাজা প্রদান করেন। একই সঙ্গে মামলার আসামি তাঁর তিন ভাইকে অব্যাহতি দেন।

পরবর্তী সময়ে আদালতের রায়ের আলোকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্ত করেছেন। পাশাপাশি তাঁর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি শুন্য ঘোষনা করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছেন।

আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেন জাহাঙ্গীর আলম। হাইকোর্ট বিভাগ তাকে ৬ মাসের জন্য জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের বিরুদ্ধে রাস্ট্র পক্ষ আবেদন করলে চেম্বার জজ তার জামিন আটকে যায়।

সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রাষ্ট্র পক্ষের আবেদনের উপর দীর্ঘ শুনানী শেষে ওই আবেদন খারিজ করে জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগের বিজ্ঞ দুই বিচারক।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হবার পর পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রথমে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে শোকরিয়া প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পরম দয়ালু আল্লাহ পাক সহায় ছিলেন বলেই আমি জনগনের মাঝে ফিরে এসেছি। পেকুয়াবাসির ভালবাসার ঋণ আমি শোধ করতে পারবোনা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আদালত, সুপ্রিম কোর্ট
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন