পানছড়ির সৌন্দর্য বর্ধন করেছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি

7-8-14 PIC

পানছড়ি প্রতিনিধি:

কখনো কেউ কল্পনাও করেনি ময়লা-আবর্জনা বেষ্ঠিত জায়গাটিতে শত শত পথচারীদের পদচারনায় হয়ে উঠবে মুখরিত। চেংগী নদীর শ্রোতধারা ও জমে থাকা ছোট ছোট বালুর চরের সৌন্দর্যের সাথে তাল মিলিয়ে পানছড়িতে গড়ে উঠেছে এক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। যা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রথম স্থাপনা হিসাবে খ্যাত।

ময়লা-আবর্জনা বেষ্টিত পানছড়ি জিরো মাইল এলাকাটি এক সময় ছিল অজপাড়া গাঁয়ের মত। ২০১০ সালে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পানছড়ি লতিবান ইউপির পর পর তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান খগেশ্বর ত্রিপুরা ছিলেন এই প্রতিকৃতি স্থাপনার মূল কর্ণধার। যার সহযোগী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজির মাহামুদ ও সাবেক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের।

এ ছাড়াও সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সাবেক আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল মোমিন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: বাহার মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক জয়নাথ দেব। ২০১০ সালে সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম’রা উদ্বোধনকালে মূল উদ্যেক্তা খগেশ্বর ত্রিপুরার ভূয়শী প্রশংসা করেছিলেন। বর্তমানে এই প্রতিকৃতিটি পানছড়ি উপজেলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসাবে উপজেলাবাসীকে অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে খোরাক যোগাচ্ছে।

তাছাড়া সকাল-বিকাল এই প্রতিকৃতির পাদদেশে লোকে থাকে লোকারন্য । ক্লান্ত পথিকও ক্লান্তি দুর করতে প্রতিকৃতির পাদদেশে বসার দৃশ্য প্রায়ই নজরে আসে। পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির, রাবার ড্যাম বেয়ে ঝর্ণার পানি পড়ার দৃশ্য ও বঙ্গঁবন্ধুর প্রতিকৃতি এলাকায় দিন দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই প্রতিকৃতির চারিপার্শ্ব ষ্টীলের একটি বাউন্ডারী দিতে পারলে সৌন্দর্য যেমনি ফুটে উঠবে তেমনি সুষ্ঠ সংরক্ষনও হবে বলে ধারনা করছেন অভিজ্ঞ মহল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন