পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত সড়ক পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান

fec-image

বান্দরবানের থানছি সীমান্ত সড়ক পরির্দশন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহম্মদ। রবিবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে থানচির বাকলাই এলাকায় পৌঁছেন তিনি। সেখানে তিনি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ান ৩৪ ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত বান্দরবানের থানচি-লিকড়ি সীমান্ত সড়ক পরিদর্শন করেন।

সেনাবা‌হিনীর প্রধান বলেন, ‘সীমান্ত সড়‌কের কাজ সমাপ্ত হ‌লে পার্শ্ববর্তী দে‌শের সা‌থে অ‌বৈধ ব‌্যবস‌া বন্ধ, পার্শ্ববর্তী দে‌শের সা‌থে সড়ক যোগা‌যো‌গের মাধ‌্যমে দ‌ক্ষিণ-পূর্ব এ‌শিয়া‌তে ব‌্যবসা বা‌ণি‌জ্যের প্রসার, সীমান্ত এলাকার কৃ‌ষিপণ‌্য দে‌শের মূল ভূখ‌ণ্ডে এ‌নে অর্থনৈ‌তিক উন্নয়ন, দে‌শি-বি‌দে‌শি পর্যটক‌দের জন‌্য পর্যটন ব‌্যবস্থার উন্ন‌তি হ‌বে। এছাড়াও শিল্প কারখানা স্থাপ‌নের সু‌যোগ বৃ‌দ্ধিসহ দুর্গম এলাকাগু‌লো সরকারি নিয়ন্ত্রণেও ভূ‌মিকা রাখ‌বে।’

এসময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন চীফ কনসালটেন্ট মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান, সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ান ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদুর রহমান, সেনাসদর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ঊর্ধ্বতন সেনা ও বিজিবি কর্মকর্তাগণ।

পরে প্রকল্প কমর্কর্তা মেজর মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, থানচি-লিকড়ি সড়কসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ৩ পার্বত্য জেলার আন্তঃসংযোগ স্থাপিত হবে এবং সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
সীমান্ত সড়কের কাজ সমাপ্ত হলে পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ, সীমান্ত এলাকার কৃষিপণ্য দেশের মূল ভূখন্ডে এনে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য পর্যটন ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এছাড়াও শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ বৃদ্ধিসহ দুর্গম এলাকাগুলোতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।

একইদিনে সেনাবাহিনী প্রধান পাবর্ত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন আর্মি ক্যাম্প এবং কক্সবাজার জেলায় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, ৩ পার্বত্য জেলায় ২০১৮ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১০৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়কের কাজ চলমান আছে। প্রথম পর্যায়ে ৩১৭ কিলোমিটারের কাজ ৭টি সেগমেন্টে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাকী কাজ দ্বিতীয় পর্যায়ে সম্পন্ন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: সেনাপ্রধান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন