পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের শুনানি প্রতিহতের ঘোষণা

fec-image

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের আগামী ২৩ ডিসেম্বরের শুনানি একপেশে দাবি করে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। মানববন্ধন থেকে বক্তারা ভূমি কমিশন আইন বাতিল করে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পতি কমিশনের পাহাড়ি-বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের সংখানুপাতে নেতৃত্ব নিয়োগের দাবি জানান।

তারা বলেন, সংবিধান বিরোধী ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন জরিপের মাধ্যমে ভূমি সমস্যার সমাধান করতে হবে। বৈষ্যমমূলক আইন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূইয়া, যুগ্ন আহবায়ক আলমগীর কবীর, সদস্য সচিব এস পৌর কাউন্সিলার এস এম মাসুম রানা, আব্দুল মজিদ লোকমান হোসেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৩ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে জমা পড়া প্রায় ২২ হাজার আপত্তি আবেদন যাচাই-বাছাই করে শুনানির কথা রয়েছে।

১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠিত পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন-২০০১। চুক্তির আলোকে হয়নি এমন অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা শুরু থেকে এ আইনের বিরোধিতা করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে সন্তু লারমার সাথে সুর মিলিয়ে সার্কেল চিফরাও ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের বৈঠক বর্জন শুরু করলে কমিশনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

অপর দিকে আইনটি বৈষ্যমমূলক ও সংবিধান বিরোধী এমন দাবি করে বাঙালি সংগঠনগুলোও হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে। এরই মধ্যে ২০১৬ সালের ১ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভেটিং সাপেক্ষে ‘পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগতভাবে অনুমোদন ও ৯ আগষ্ট তা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশের পর গত ৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদের পাশ হলে বাঙালি সংগঠনগুলো আইন সংশোধনের পর থেকে আইনটি বাতিলের দাবিতে বাঙালি সংগঠনগুলোর আন্দোলন আরো জোরদার হয়।

ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা ক্ষতিগ্রস্থদের ৪৫দিনের মধ্যে আবেদন চেয়ে জারি করা কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে প্রায় ১৫ হাজার আবেদনপত্র পড়ে। এতে করে দুই দফায় প্রায় ২২ হাজার ৯০টি আবেদনপত্র জমা পড়ে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন