পুলিশের বেধড়ক লাঠি পেটায় বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতিসহ দুই সাংবাদিক গুরুতর আহত
আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
পুলিশের লাঠি পেটায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। রোববার বিকেলে উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে পুরো রাঙামাটি জেলায়। আহত সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে উভয় দলের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় মুরব্বী হিসেবে ঘটনাটি মিমাংসা করতে খেলার মাঠে উপস্থিত হলে হঠাৎ করে দায়িত্বরত বাঘাইছড়ি থানার কয়েকজন পুলিশ গিয়াস উদ্দিনকে বেধড়ক লাঠি পেটা করে। এই ঘটনায় তাকে উদ্ধার করতে স্থানীয় সাংবাদিক শাহিন ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও পুলিশ বেদড়ক লাঠি পেটা করে। এসময় উভয় সাংবাদিক অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাদের উভয়কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এদিকে সাংবাদিক সালাউদ্দিন শাহিন অভিযোগ করেন, বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ রফিক উল্লাহ এসময় ঘটনাস্থলে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেননি।
এই ঘটনা সর্ম্পকে জানতে বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ রফিক উল্লাহকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে ঘটনা সম্পর্কে থানার এসআই মাসুদ জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র সংগঠিত উত্তেজনা মারামারিতে রূপ নিতে থাকলে দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উত্তেজনা প্রশমনে এগিয়ে যায় এবং উভয় পক্ষকে শান্ত করতে সামান্য লাঠিচার্জ করে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভাই আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম না। কয়েকজন পুলিশ সদস্য নতুন জয়েন্ট করেছে এবং তারা এসময় দায়িত্বরত ছিলেন। তারা প্রেসক্লাব সভাপতিকে চিনতে পারে নাই। তাই সামান্য ভূল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনার ব্যাপারে এলাকার জনমনে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিজিবি কর্তৃক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা দিলীপ কুমার দাশের সভাপতিত্বে তাৎক্ষণিক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত সকল সদস্যরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
এদিকে বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের
এই ঘটনায় ঘৃনাভরে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি
সিফিসির পক্খ থেকে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।