পেকুয়ার টইটংয়ে পাথর বোঝাই ট্রাক নিয়ে বেইলী ব্রীজ বিধ্বস্ত: শতাধিক যানবাহন আটকা-জনদূর্ভোগ চরমে
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় পাথর বোঝাই ট্রাক পারাপারকালে টইটংয়ের জনগুরুত্ব সীমান্ত বেইলী ব্রীজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বাঁশখালী হয়ে পেকুয়ার সাথে সড়ক যোগাযোগ সম্পন্ন বন্ধ হয়ে পড়েছে। আর এতে করে শতাধিক যানবাহন আটকেপড়া ছাড়াও হাজার হাজার মানূষ চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত আনুমানিক আড়াই টার দিকে পাথর বোঝাই করা ঢাকা মেট্টো-ট-১৮-১৯৫০ নম্বরের একটি ট্টাক চট্টগ্রাম থেকে আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে পেকুয়ার দিকে আসার সময় বাঁশখালী পেকুয়া সীমান্ত ব্রীজ এলাকায় পৌছায়। এসময় পাথর বোঝাই করা মালবাহী ট্টাকটি টইটং সীমান্ত ব্রীজের পাড়ি দিতে গিয়ে বেইলী ব্রীজের রেলিং ও পাটাতন ভেঙ্গে বিধ্বস্ত হয়। তখন পাথর বোঝাই করা মালবাহী ট্টাকটিও ব্রীজের নীচে খালে পড়ে যায়।
ট্টাকের হেলপার মোঃ আলম জানিয়েছেন, এঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও বেইলী সেতুটির ধারণ ক্ষমতার বিষয়ে কোন ধরনের নির্দ্দেশনা সাইনবোর্ড না থাকায় এ দূর্ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে। এদিকে, টইটংস্থ্য সীমান্ত ব্রীজটি বিধ্বস্ত হওয়ায় পেকুয়ার সাথে বাঁশখালী-চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া পেকুয়া-বাঁশখালী-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী শত শত যানবাহন টইটংয়ে আটকা পড়ে থাকায় ওই সড়কে যান চলাচল হয়ে পড়েছে সীমিত। সেই সাথে টইটংয়ের জনগুরুত্ব সীমান্ত বেইলী ব্রীজটি বিধ্বস্তের ঘটনায় বাঁশখালী-টইটং সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ায় ওই পথ দিয়ে গন্তব্য গমনকারী হাজার হাজার মানূষ চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে বলে স্থানীয়দের মন্তব্য।
এদিকে, টইটং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী পেকুয়া-চট্টগ্রামের আভ্যন্তরীন সড়ক যোগাযোগ পরিক্রমার জনগুরুত্বপূর্ণ টইটং সীমান্ত ব্রীজটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিনেও টেকসই ও মান সম্পন্ন ভাবে নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করায় একাধিকবার ব্রীজটি বিধ্বস্তের শিকার হয়েছে। আর এতে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সব চাইতে বড়কথা হলো বারবার মেরামতে যে অপচয় হচ্ছে তার বিনিময়ে অসম্পূর্ণ ব্রীজটি নির্মাণ করা যেতো।
টইটং ইউপি চেয়ারম্যান জেড এম মোসলেম উদ্দিন টইটং সীমান্ত ব্রীজ বিধ্বস্তের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, দূর্ঘটনা কবলিত ট্টাক উদ্ধার ও বিধ্বস্ত সেতুর পূনঃ সংষ্কারে ইউএনও মহোদয়ের নির্দ্দেশনা মতে স্থানীয়রা কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা জানিয়ে বলেছেন, ঘটনাস্থলে নতুন আরেকটি ভেইলী সেতু স্থাপনের জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। রাতের মধ্যেই জরুরী ভিত্তিতে টেকনাফ থেকে আরেকটি সেতূ আনা হচ্ছে। কালকের মধ্যেই সেটি বসানো হবে। এজন্য দূর্ঘটনাকবলিত ট্টাকের মালিককে রাতের মধ্যে সেটি সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় জরুরী ভিত্তিতে আনা ব্রীজ স্থাপনে দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাক অপসারনের ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন।