পেকুয়ায় চাঁদার দাবিতে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় চাঁদার দাবিতে ডেন্টাল ডাক্তার, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দূর্বৃত্তরা। আহতেরা হলেন, পেকুয়া নুর ডেন্টাল কেয়ারের ডাক্তার শিলখালী হাজির ঘোনা এলাকার মৃত নুরুল হুদার ছেলে শফিকুর রহমান (২৮), ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রাম বহদ্দার হাট শাখার কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম (৪০), মোঃ ইউনুছ (৪৬) ও তার স্ত্রী হাফজা বেগম (৩০)।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় শিলখালী ইউনিয়নের হাজির ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ডেন্টাল ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেন, পেকুয়া-শিলখালী সীমান্তে সাকোর পাড় ষ্টেশনে আমাদের তিনটি দোকান রয়েছে। ডাক্তার মোকাম্মেল, আকবর ও খোকন নামের তিন ব্যক্তি দোকান তিনটি ভাড়া হিসাবে ব্যবহার করেন। আমাদের ওই দোকানে গিয়ে হাজির ঘোনা এলাকার নাঈম নামের এক ব্যক্তিসহ আরো কয়েকজন মিলে চাঁদা দাবি করে আসছিল। বিগত কয়েকমাস আগে তার অপকর্ম বেড়ে গেলে শিলখালী ইউপি’র চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু তারা গ্রাম আদালতে হাজির হননি। এরপর চাঁদা দাবি করলে আমরা না দেওয়ায় একটি দোকান ঘর দখল করে নেন। বিষয়টি থানা প্রশাসনকে অবগত করি।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন সকালে আমরা দুই ভাই একটি মটর সাইকেল নিয়ে পেকুয়া বাজারে দিকে ও আমার ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা অপর একটি মটর সাইকেল নিয়ে সাকোর পাড়া ষ্টেশনে আসছিল। এরই মধ্যে হাজির ঘোনা রাস্তায় আসা মাত্রা মটর সাইকেল চলন্ত অবস্থায় আমাদেরকে গতিরোধ করে কোপাতে শুরু করে নাঈম উদ্দিনসহ তার ভাই ইমু, তাদের পিতা ফিরোজ আহমদ, আকবর আহমদ, আবদুল হামিদ, কপিল উদ্দিন, রিফাত উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন। তাদের হামলায় আমরা তিন ভাই মটর সাইকেল থেকে পড়ে যাই। পড়ে গেলে তাদের অব্যাহত কিরিচের কোপে আমরা ক্ষত বিক্ষত হই। ওই সময় আমার ভাইয়ের স্ত্রী হাফছা বেগম আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও আহত করা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।

ব্যাংক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, নাঈম একজন চাঁদাবাজ। তাকে চাঁদা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আহত করার পর মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এর আগের দিন আমার ভাই মাষ্টার ইউছুফ জামালের বাড়িতে হানা দিয়ে স্বর্ণালংকারসহ দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে আরো বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।

শিলখালী ইউপি’র চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন বলেন, ডাক্তার শফিকুর রহমান একটি অভিযোগ গ্রাম আদালতে দায়ের করেছিল। কিন্তু নাঈমরা হাজির না হওয়ায় সুরহা হয়নি।

পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হামলার বিষয়টি স্থানীয় মাধ্যমে আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন