পেকুয়ায় জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনি লুট!

pic z pekua 19-02-2014(1)

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার মগনামা লঞ্চঘাটে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই জেলা পরিষদের ২৩ বছর পূর্বে নির্মিত একতলা বিশিষ্ট পরিত্যক্ত একটি যাত্রী ছাউনীর ছাদ প্রকাশ্যে ভেঙ্গে লুট করে নিয়ে গেছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা। এ ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ঘুম ভাঙেনি জেলা পরিষদের কর্তা বাবুদের! নেওয়া হয়নি জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনগত পদক্ষেপ। এনিয়ে সচেতন মহলে জেলা পরিষদের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীদের সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, গত তিন দিন পূর্বে পেকুয়া উপজেলার মগনামা লঞ্চঘাটে কক্সবাজার জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২৩ বছর পূর্বে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত যাত্রী ছাউনীর ছাদ প্রকাশ্যে ভেঙ্গে ৭/৮ মণ লোহা বিক্রি করেছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। জেলা পরিষদের নিয়মানুযায়ী, কোন ব্যক্তি সরকারী যাত্রী ছাউনী পরিত্যক্ত হলেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভাঙ্গা বেআইনী।

স্থানীয় মগনামা লঞ্চঘাটের এলাকার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, মগনামা ইউনিয়নের করলিয়া পাড়া গ্রামের নুরুল আবছার (৪৮) প্রকাশ অলী আহমদের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন প্রভাবশালী লোক নিজেদের দোকানঘর দাবী করে জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত ১তলা বিশিষ্ট যাত্রী ছাউনীর ছাদ ভেঙ্গে ফেলে। এরপর সেখান থেকে পাওয়া প্রায় ৭/৮মন লোহা ও তারা চড়া দামে বিক্রি করে দেয়। ব্যবসায়ীরা প্রথমে বাধা দিতে চেষ্টা করলেও ওই প্রভাবশালীরা তাদের বিভিন্ন ধরণের মামলা-হামলার হুমকি দেওয়ায় পরে তারা আর বাধা দেননি।

জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনীর ছাদ ভেঙ্গে লোহা বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে এ ঘটনায় জড়িত নুরুল আবছার প্রকাশ অলী আহমদ বলেন, ৭/৮ বছর পূর্বে জেলা পরিষদ থেকে তিনি ওই যাত্রী ছাউনীটি মাসিক ৩০০টাকা ভাড়ায় মুদির দোকানের ব্যবসা করার জন্য ইজারা নিয়েছিলেন। এখন দোকান বড় করার জন্য যাত্রী ছাউনীটি নিজ উদ্যোগে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো: শফিকুর রহমান (যুগ্ন-সচিব) এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি পার্বত্যনিউজকে কে বলেন, এ নিয়ে কেউ আমার দফতরে অভিযোগ দেয়নি। যাত্রী ছাউনী লুটের বিষয়টি এই প্রথম আপনার কাছ থেকে শুনলাম। মগনামা লঞ্চঘাটে পরিত্যক্ত জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনীটি কারা ভেঙ্গে নিয়েছে তা তদন্ত করে দেখবেন। সরকারী সম্পদ লুটের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলেও তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন