পেকুয়ায় নিরীহ ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অভিযোগ

এ.এম.জুবাইদ,পেকুয়া:
পেকুয়ায় নিরীহ ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী বাংলা পাড়ার প্রবাসী নাসির উদ্দিনের একমাত্র মেয়ে নাসরিন সুলতানা হেনা (১৪) কে একই এলাকার দুবাই প্রবাসী নুরুন্নবীর ছেলে ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অপহরণ চক্র ২৩ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টার দিকে প্রবাসী নাসিরের বসতঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মূখে জিম্মী করে পড়ার টেবিল থেকে স্কুল পড়ুয়া হেনা কে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এঘটনায় ওই ছাত্রীর মা রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে অপহরণকারী নুরুনবীর পুত্র ইউনুসসহ ৪ জনকে আসামী করে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১৯।

এঘটনায় অপহরণকারীর চাচাতো ভাই বাচ্চু কে আটক করা হয়েছিল। অপহরণের ২৪ দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর স্কুল ছাত্রী হেনা ও ইউনুসকে অনেক খোঁজাখুজির পর তাদের আত্মীয় স্বজনরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মিরপুর-১ থেকে উদ্ধার করে। পরে উভয়জনের আত্মীয় স্বজনরা তাদের কে বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে হরতাল চলাকালে চট্টগ্রাম থেকে নিজ গ্রামের বাড়ীতে মটর রিক্সা যোগে বাশখালী হয়ে নিয়ে আসার সময় ওই ছেলের সাথে এক রিক্সাতে পেকুয়া সিকদার পাড়া এলাকার মঞ্জুর আলম ছিল। ই্উনুছ টইটং বাজারের দক্ষিন পাশে আসলে সে রিক্সা থেকে পালিয়ে যায়। ছেলেটি কিভাবে পালিয়ে যায় মঞ্জুর আলমই ভালে জানেন। পরে পেকুয়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে এস আই শফিকুর রহমান ভুইয়া মেয়ের দাদা সোবহান ও চাচা সিরাজ উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে অপহরণকৃত মেয়ে হেনা কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অপহরনকৃত স্কুল ছাত্রী হেনা কে পরদিন জেলহাজতে প্রেরণ করে। ঘটনারদিন টইটং বাজারের দক্ষিণ পাশ থেকে ইউনুছ কে হাতপা বেধে অপহরণ করা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ এনে দুবাই প্রবাসী নুরুন্নবীর স্ত্রী ও ই্উনুছের মা খোরশেদা বেগম বাদী হয়ে মেয়ের চাচা সিরাজ উদ্দিন, দাদা নুর ছোবহান, চাচা বারেক, রফিক, নুরুল কবির মাঝি এবং মেয়ের মা রাজিয়া বেগম, নুরুল আবছার সহ ৭ জন কে আসামী করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেষ্ট আদালত চকরিয়ায় অপহরণ মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে। যার নং সি আর ১১৮৩/১৮.৯.১৩।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পেকুয়া থানার ওসি কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে মামলার এজাহার ভুক্ত ২ নং আসামী বারেক ঘটনাস্থলে ছিল না সে তার নিজস্ব মৎস্য প্রজেক্টে ছিল। অভিযোগকারীরা জানান অন্যায় ভাবে আমাদের কে মিথ্যা অপহরণ মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে ঘটনার সুষ্ট তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনের স্থস্তক্ষেপ কামনা করছি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বিগত দিনে প্রবাসী নাসির উদ্দিনের বসতবাড়ি নিয়ে সংঘর্ষ হলে খোরশেদা বেগম, মামা আবুল হোছাইন(আবুনি), বাচ্ছুর বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ঐ মামলা তারা জামিনে রয়েছে। সেই শুক্রতার জেরধরে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে জোরপূর্বক ঘরের ভিতর থেকে তুলে নিয়ে যায়। মেয়ের মা রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করায় ছেলের মাতা পাল্টা মেয়ের আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার এস আই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন