পেকুয়ায় প্রেমিকের ধর্ষণ চেষ্টায় আত্মহত্যা করল প্রেমিকা

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালীতে গভীর রাতে প্রেমিক তার সহযোগী নিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণ চেষ্টা করলে অপমানে প্রেমিকা বিষপানে আত্মহত্যা করে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের হাজীর পাড়া এলাকায়।  এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পেকুয়া থানার এসআই নাজমুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে প্রেমিক আবুল কাসেম ও তার দুই সহযোগী রাজাখালী ইউনিয়নের হাজী পাড়ার মৃত আবুল হোসেন বাদশার পুত্র আলমগীর ও নুরুল হকের পুত্র রবি আলম ওই এলাকার দিনমজুর আইয়ুব আলীর বাড়িতে আসে এবং তার মেয়ে রাজাখালী বি ইউ আই ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী প্রেমিকা তাবাচ্ছুমা জন্নাত রেখামনির সাথে দেখা করতে। ওই সময় প্রেমিক আবুল কাসেম ও তার সহযোগীরা তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঘর থেকে বের করে দক্ষিণ হাজী পাড়ার মসজিদের পুকুরের বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় তার আত্মচিৎকারে লোকজন আসলে এতে অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যা করে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী তাবাচ্ছুমা জন্নাত রেখামণি (১৪)।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পরপরই মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে রেখামণি।

রেখামণির পিতা আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনার সময় আমি বাঁশখালীর পুঁইছড়ি আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে বড় ছেলে মো. রাসেল ও স্থানীয়রা জানান আমার প্রতিবেশি মৃত আবুল হোসেন বাদশার ছেলে আলমগীর, নুরুল হকের ছেলে রবি আলম ও বাঁশখালী ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম মেয়েকে গভীর রাতে প্রেমের প্রলোভনে ফেলে দক্ষিণ হাজী পাড়ার মসজিদের পুকুরের বাসায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করার চেষ্টায় ধস্তাধস্তি ও আর্ত-চিৎকারে প্রতিবেশীররা এগিয়ে এসে উদ্ধার করার পর অপমানবোধ করে আত্মহননের দিকে ধাবিত হয়ে বিষপান করে। আমি আমার মেয়ের অকাল মৃত্যুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবীতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু জানান, বেশারতুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র আবুল কাশেমের সাথে রেখামণির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গতরাতে হাজী পাড়ার মৃত আবুল হোসেন বাদশার ছেলে আলমগীর ও নুরুল হকের ছেলে রবি আলমের সহযোগিতায় প্রেমিক আবুল কাশেম মসজিদের পুকুরের বাসায় রেখামণিকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টা চালালে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এরপর রাতের কোন এক সময়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করে বলে মেয়ের এবং এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জেনেছি।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি ( তদন্ত) কানন সরকার বলেন, তাবাচ্ছুমা জন্নাত রেখামনি নামে এক কিশোরীর বিষপানে আত্মহত্যার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন