বিএনপির হরতালের প্রভাবে 

পেকুয়ায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম, সাংবাদিকের গাড়ি ভাঙচুর, আহত ১

fec-image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা যায়,পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নের মোট ৪৪টি ভোট কেন্দ্রের ২৯৪টি ভোট কক্ষে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৬৪ জন নারী-পুরুষ ভোটার আছে। চকরিয়া উপজেলার মোট ১৯টি ইউনিয়নে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৫৫ জন নারী পুরুষ ভোটার রয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৪১৯ জন, মোট ভোট কেন্দ্র ১৫৮টি।

এ আসনে প্রার্থীরা হলেন কল্যাণপার্টি মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল ছৈয়দ ইব্রাহিম (হাতঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম (ট্রাক), তানবির ছিদ্দিক তুহিন(ঈগল),ওয়ার্কার্স পার্টির বশিরুল আলম (হাতুড়ি), ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী কমর উদ্দিন আরমান (কলার ছড়ি) ও হোসনে আরা (নাঙ্গল)।

বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে বিএনপির নেতাকর্মীদের অবস্থান, সাবেকগুলদি এলাকায় সাংবাদিকের গাড়ি ভাংচুর করে দূর্বৃত্তরা। এমনকি বারবাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হাত ঘড়ি প্রার্থীর এজেন্ট আ.লীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচীর উপর হামলা চালায় ট্রাক প্রতীকের সন্ত্রাসী বাহিনীরা। এছাড়াও বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রে ভোটার শূন্য আবার কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রে দেখা যায় অল্প সংখ্যক ভোটার ভোট দিচ্ছে। অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় ভোট কেন্দ্রে ভোটারের লাইন দেখা যায় নি। তারপরও গুটি কয়েক জন ভোটার। ফলে বিএনপি ভোট বর্জন করায় উপস্থিতি কম। সাবেকগুলদিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বহনকারী জীপ গাড়ী ভাংচুর করা হয়।

এদিকে দুপুর ২.৫৫ মিনিটে তার ফেইজবুক লাইফে এসে ভিডিও বার্তা দিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম তিনি বলেন, আমি ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম আপনারা আমাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন কিন্তু দুপুর ১২ টার পর থেকে হাত ঘড়ির পক্ষে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিবি, কেন্দ্র দখল করে আমার এজেন্টদের পিঠিয়ে বের করে দিয়ে ব্যালেট পেপারে সিল মারে। অনেক কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে নিমর্ম ভাবে আহত করে তারপর আমি ভাবলাম প্রতিরোধ করার চেয়ে ভোট বর্জন করা শ্রেয় বলে আমি মনে করি তাই ভোট বর্জন করলাম।

ভোটাররা জানান, ভোটার উপস্থিতি কম হলেও শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন চলছে। ভোট দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।

ভোট গ্রহন ও গণনা শেষে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন পেকুয়া উপজেলা ফলাফলে হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মেজর জেনারেল ছৈয়দ ইব্রাহিম ১৫৭৩৮ ভোট, ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ জাফর আলম ১৩৩০৪ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হোসনে আরা ১৪৮ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (মোমবাতি) প্রতীকে ১১৩ ভোট, ওয়ার্কার্স পার্টির বশিরুল আলম (হাতুড়ি) প্রতীকে ৭৫ ভোট, তানবির ছিদ্দিক তুহিন(ঈগল) প্রতীকে ৬৩ ভোট, কমর উদ্দিন আরমান (কলার ছড়ি) প্রতীকে ৫৫ ভোট পায়। পেকুয়ার প্রাপ্ত ফলাফলে বেসরকারি ভাবে হাতঘড়ি প্রতীক এগিয়ে আছেন।

অপর দিকে চকরিয়া উপজেলার নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করতে অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন সব কেন্দ্রে ফলাফল এখনো আসেনি। আসলে বিস্তারিত জানানো হবে বর্তমানে প্রাপ্ত ফলাফলে হাতঘড়ি প্রতীক এগিয়ে আছেন।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা বলেন, পেকুয়ায় কোন রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট সুষ্ঠ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন