পেকুয়ায় সামাজিক বনবিভাগের জায়গায় অবৈধ বসতি নির্মাণ: বনবিট কর্মকর্তাকে ধাওয়া

pic bait2

নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:
 পেকুয়ায় বনবিভাগের জায়গা দখলে নিতে টইটংয়ের রমিজপাড়া এলাকায় বনবিট কর্মকর্তাকে ধাওয়া দিয়েছে ভুমিদস্যুরা। পরে পালিয়ে প্রাণনাশ থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানা গেছে বনবিভাগের কর্মকর্তারা। জাল কাগজ সৃজন করে সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগির বনায়নে অবৈধ বসতি স্থাপনের চেষ্টা করছে প্রভাবশালী দখলবাজচক্র।

২০০৩সালের সামাজিক বনায়নের অংশিদার প্রকৃত উপকার ভোগিকে ২ একর ৫০শতক জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে ওই চক্রটি একটি ভুয়া চুক্তিপত্র সৃজন করে উক্ত স্থানে বসতি তৈরীর কাজ শুরু করেছে তারা। এদিকে বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তা লিয়াকত আলীসহ বনবিভাগের কর্মকর্তারা ওই স্থানে গিয়ে গহীণ বনে বসতি স্থাপন কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করলে ভুমিদস্যু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা উত্তেজিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

জায়গা জবর-দখল ও বেদখলকে কেন্দ্র করে খোদ বনবিভাগের সাথে চ্যালেঞ্জ করে দখলবাজিতে মেতে উঠেছেন অস্ত্রধারী ওই চক্রটি। জানা যায়,উপজেলার টইটংয়ের রমিজ পাড়া এলাকার মৃত নসরত আলীর পুত্র মোস্তাক আহমদ ২০০৩ সালের সৃজিত বাগানের ১নং প্লটের সরকারের বনবিভাগের প্রকৃত উপকারভোগি। সে সময় পুর্ব সোনাইছড়ি রমিজ পাড়ার তার নামে বরাদ্ধকৃত ২একর ৫০শতক জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ সৃজন করে তা রক্ষানাবেক্ষন সহ পরিচর্যা করে আসছিলেন। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে তার প্লটে লাগানো বৃক্ষগুলি বাজারজাত উপযোগি হয়েছে।

সম্প্রতি ওই বাগানের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই এলাকার মৃত সোলতান আহমদের পুত্র আব্দুল মালেক, ছৈয়দ আহমদের পুত্র গিয়াস উদ্দিন, নুরুল হকের পুত্র একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মিজান, গ্রাম পুলিশ খলিলুর রহমান গংদের। এরই সুত্র ধরে তারা ওই অসহায় মোস্তাকের বাগানের সব গাছ লুট করে ফেলে। এছাড়া পরে তার নামে একটি ভুয়া চুক্তিপত্র তৈরী করে পাহাড়ের ভুমি জবর-দখল করতে গত কয়েকদিন থেকে ওই স্থানে একটি ঘর তৈরী করার চেষ্টা করে।

উপকারভোগি ওই ব্যক্তি জবর-দখলের বিষয়টি স্থানীয় বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তা লিয়াকত আলীকে অবহিত করেন। তিনি গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে তার সহযোগিদের নিয়ে রমিজ পাড়া এলাকায় গিয়ে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এতে আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে উল্লেখিত ব্যক্তিরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদেরকে হামলার চেষ্টা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে রক্ষা পান।

এ ব্যাপারে বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা গিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এর পরেও তারা যদি সেখানে বসতি স্থাপন কাজ চালালে এদের বিরোদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে। এ ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা উত্তম কুমার পাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান বনবিভাগের বিশাল বনভুমি পাহারা দেওয়া সীমিত জনবল দিয়ে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। শত বাধা থাকলেও জবর-দখলের স ংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন