পেটের ডানপাশে ব্যথা হয় কেন

fec-image

পেটের একপাশে তীক্ষ্ণ ব্যথা এবং তা লম্বা সময় ধরে অনুভূত হওয়ার পেছনে থাকতে পারে মারাত্মক শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত।

বদহজম, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে পেটব্যথা হতেই পারে। আর কিছুক্ষণ পর তা এমনিতে সেরেও যায়। আবার পেটের একপাশে ব্যথা হলেই আতঙ্কিত হওয়ার আগে জানতে হবে ওই ব্যথার নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হল এমন তিনটি কারণ সম্পর্কে।

অ্যাপেন্ডিসাইটিস: সচরাচর পেটের ডানপাশে ব্যথা হওয়ার কারণ এই ‘অ্যাপেন্ডিসাইটিস’। ‘অ্যাপেন্ডিক্স’ হল আঙ্গুলের মতো আকৃতির একটি থলে যা পেটের নিচের দিকের ডানপাশ থেকে শুরু হওয়া বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আর এই ‘অ্যাপেন্ডিক্স’য়ের প্রদাহকেই বলা হয় ‘অ্যাপেন্ডিসাইটিস’। এই প্রদাহের সুত্রপাত হয় নাভির আশপাশে এবং ছড়িয়ে পড়তে থাকে পেটের ডান পাশের নিচের দিকে।

এই প্রদাহের কারণে বসা ও শোওয়া অবস্থায় প্রচণ্ড অস্বস্তি দেখা দেয়। আর ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে কোনো কারণ ছাড়াই। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ‘অ্যাপেন্ডিক্স’ অপসারণ করাই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। আর তা-না করে ব্যথাকে উপেক্ষা করলে একসময় ‘অ্যাপেন্ডিক্স’ ফেটে যেতে পারে।

পেশি ব্যথা ও হার্নিয়া: প্রচণ্ড ভারী ব্যায়াম থেকেও পেটের ডানপাশে তীক্ষ্ণ ব্যথা দেখা দিতে পারে। মানুষ জোরে দৌড়ালে পেটের ‘ডায়াফ্রাম’ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি নড়াচড়া করে, আর সেখান থেকেই ব্যথার সুত্রপাত। এছাড়াও পেশির অবসাদগ্রস্ততা, পানিশূন্যতা, ‘ইলেক্ট্রোলাইট’য়ের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদির কারণে পেশিতে টান পড়তে পারে এবং পেটব্যথা দেখা দিতে পারে। এই পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিবার ব্যায়ামের আগে অবশ্যই ‘ওয়ার্ম-আপ’ করতে হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে পরিমাণ মতো।

আবার ব্যায়ামাগারে ভারী ওজন তোলা থেকে দেখা দিতে পারে ‘হার্নিয়া’। এই রোগে শরীরের অভ্যন্তরীন একটি অঙ্গ যে পেশির সাহায্যে শরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকে সেই পেশির উৎপত্তিস্থল দিয়ে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে। তাই ভারী ব্যায়াম করার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সবসময়।

বৃক্কে পাথর: তলপেটের দুই পাশেই আছে বৃ্ক্ক। তাই বৃক্কে পাথর হলে পেটের ডানপাশে ব্যথা হবে। এছাড়াও একই কারণে ব্যথা হতে পারে পিঠের নিচের দিকে ও ‘গ্রোইন’ বা কুঁচকিতে। বৃক্কের এই পাথর মুত্রনালীর দিকে যেতে থাকলে ব্যথারও স্থান পরিবর্তন হয়। এসময় প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে এবং বমিভাব হতে পারে। বৃক্কের পাথর ছোট হলে ওষুধের সাহায্যেই তা প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দেওয়া যায়। অন্যথায় বেছে নিতে হবে অস্ত্রোপচার।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অ্যাপেন্ডিসাইটিস, পেট, ব্যথা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন