ফলোআপ

রাঙামাটিতে অন্তর্দলীয় বন্দুকযুদ্ধে জেএসএস (মূল) এর প্রধান চাঁদা আদায়কারী বিক্রম চাকমা নিহত

fec-image

পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তির একদিন আগে আবারো রক্ত ঝরলো পাহাড়ে। রাঙামাটিতে অন্তর্দলীয় বন্দুকযুদ্ধে জেএসএস (মূল) এর প্রধান চাঁদা আদায়কারী বিক্রম চাকমা নিহত হয়েছেন। রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা সদরের মগবান ইউনিয়নের বরাদম এলাকার আওলাদ বাজার থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রগুলো জানায়, রোববার ভোরবেলায় মগবান ইউনিয়নের বরাদম এলাকার আওলাদবাজারে গুলাগুলির শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা । তবে কারা বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে তা পুলিশ কিংবা স্থানীয়রা জানাতে পারেনি। পরে একইদিন দুপুরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ এবং কোপানো একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

রোববার দুপুর আড়াইটার সময় ২নং মগবান ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গোলাছড়ি এলাকার অমিয় রঞ্জন চাকমার বাড়ির পেছন থেকে নিহতের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে রাঙামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশ।

তবে একটি সূত্র নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। নিহত ব্যক্তির নাম বিক্রম চাকমা (৩৯)। তিনি দীর্ঘদন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপের প্রধান চাঁদা সংগ্রাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

কারো কারো মতে, প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে অন্যত্র থেকে ধরে এনে এখানে গুলি করে রেখে যেতে পারে। মূলত চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হতে পারে বলে তাদের মত।

কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে রাইফেলের চার রাউন্ড গুলির খোসা পড়ে থাকা অবস্থায় পেয়েছে পুলিশ। নিহতের দুই হাতে, বুকের এক পাশে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।

স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, নিহতের নাম বিক্রম চাকমা ওরফে সুমন চাকমা। তার বাড়ি রাঙামাটি শহরের রাঙ্গাপানি এলাকায়। এইচএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা বিক্রম জেলার কাউখালী ও ঘাগড়া এলাকায় চাঁদা আদায়ের কাজ করতো।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা একেএম নজিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেএসএসের প্রধান চাঁদা আদায়কারী রবি শংকর মারা যাওয়ার পর নিহত বিক্রম চাকমা জেএসএসের প্রধান চাঁদা আদায়কারী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মুখে নিজ এলাকা থেকে সটকে গিয়ে আত্মগোপনে ছিলো সে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চাঁদাবাজ, চিফ কালেক্টর, জেএসএস সন্ত্রাসী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন