প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলেও চলে বেতন-ভাতা উত্তোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাসিঁয়াখালী ইউনিয়নের লাইল্যামার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিল্পব মজুমদার ও কয়েকজন সহকারী শিক্ষক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেই নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও দৈনিক হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করে বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছে। এ বিষয়ে কার্যত কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, শিল্পব মজুমদার ২০১০ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়টিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি কর্ম দিবসে বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন অজুহাতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। পরে যে দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন সে দিন অনুপস্থিত দিনগুলো হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে দেন। প্রধান শিক্ষকের একই নীতি অনুসরণ করেন বিদ্যালয়টির কয়েকজন সহকারী শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকসহ কয়েক জন সহকারী শিক্ষকদের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনে বিদ্যালয়টির কোমলমতি শিশুরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বহু বছর ধরে। শিক্ষকদের অনুপস্থিতি এবং মানসম্মত শিক্ষার অভাবে দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
এছাড়া প্রতি বছর বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্ধকৃত অর্থ, পুরাতন বই বিক্রয় ও শিক্ষার্থীদের হতে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক শিল্পব মজুমদারের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্লাস্টার কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা দুর্নীতিতে জড়িত বলে মনে করেছেন অভিবাবকরা।
এ বিষয়ে শিল্পব মজুমদার মুটো ফোনে ক্ষিপ্ত স্বরে সাংবাদিকদের বলেন, আমি কবে বিদ্যালয়ে আসব আর আসবো না, তা আপনাকে বলতে হবে? বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে বলেন, আমি একদিন পর একদিন স্কুল করি, লিখিতভাবে ছুটি নেওয়া না হলেও এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে ফোন করে ছুটি মঞ্জুর করি।
লামা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশিষ কুমার মহাজন জানান, প্রধান শিক্ষক শিল্পব মজুমদার প্রতিমাসে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারনে তার বেতন বন্ধ রয়েছে।