ফাঁসিয়াখালীতে সাংবাদিকের বাগান দখলের চেষ্টায় হামলা : আহত ১, আটক ৩
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা এসএম সিরাজুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরো চারজন। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কবিরার দোকান (আড়াই মাইল) এলাকায় নিজস্ব বাগানে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় সাংবাদিকের ছেলে ইউনুছ বাগানের কর্মচারি নিয়ে কাজ করার সময় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রহিম উদ্দিনের ইন্ধনে তাঁর সহযোগী জিয়াবুল, মনিয়াসহ ১০-১২ জনের একটি দখলবাজ চক্র হামলার ঘটনাটি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক সিরাজুল হক।
রবিবার রাতে লামা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাংবাদিক এসএম সিরাজুল হক।
অভিযোগে সাংবাদিক এসএম সিরাজুল হক জানান, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কবিরার দোকান এলাকায় আমার মালিকানাধীন একটি বাগান দখলে নিতে চেষ্টা করলে আমি বান্দরবান জেলা মাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। গত ৭ নভেম্বর উল্লেখিত মামলার রায়ের অনুকূলে লামা থানার পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির আইসি শহিদুল ইসলাম উপস্থিত থেকে সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণ করে ভুমিদস্যুদের উচ্ছেদপূর্বক আমাকে শান্তিপুর্ণভাবে অবস্থানের নির্দেশনা দেন।
সাংবাদিক সিরাজুল হক অভিযোগ তুলেছেন, অভিযুক্তরা আদালতের আদেশ অমান্য করে আমার বাগানটি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এ অবস্থায় গত ১৪ নভেম্বর লামা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি। এতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এতে তারা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে সর্বশেষ রোববার সকালে আমার ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস ৭/৮ জন শ্রমিক নিয়ে বাগানের কাজ করার সময় অভিযুক্তরা বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। ওইসময় হামলাকারীরা আমার ছেলেকে পিটিয়ে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও নগদ পনের হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক সিরাজুল হক।