‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণে বঙ্গবন্ধু আন্তঃদেশীয় করিডোর নির্মিত হবে’
চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার এর সাথে মায়ানমার এবং ভারত সীমান্ত এলাকায় এলাকায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণে ‘বঙ্গবন্ধু আন্ত:দেশীয় করিডোর নির্মিত হবে’ বলে জানান বাংলাদেশ ফরেস্ট বিভাগ এর ডেপুটি চিফ বন সংরক্ষক ড. জগলুল হোসাইন।
বুধবার (০১ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ফরেস্ট ডিপিার্টমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এর যৌথ আয়োজনে রাঙামাটি পর্যটন মোটেল কমপ্লেক্স এর অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডেপুটি চিফ বন সংরক্ষক বলেন,আজকের এ কর্মশালার মূল উদ্দেশ্যে হলো- খন্ডিত বনগুলোকে সংযুক্ত করা। এইজন্য আমরা এমন একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করেছি; যে সফটওয়্যার দিয়ে বন্য প্রাণীর জন্য করিডোর এলাকা সনাক্ত করা যায়। কিন্তু মানুষ বন্য প্রাণী চলাচলের পথ দখল করে বসতি নির্মাণ করেছে। যে কারণে বন্য প্রাণী বিশেষ করে হাতি-মানুষের দ্বন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ পশুরা তাদের গতিপথে বাধা পেলে হিংস্র আচরণ করে।
ড. জগলুল হোসাইন বলেন আরও বলেন- দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ তথা এ ভূখন্ডের অস্থিত্ব রক্ষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ণ করেন। কারণ পৃথিবীতে মানুষ-প্রাণীর মধ্যে ইকোব্যালেন্স না থাকলে প্রকৃতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের এ ডেপুটি কর্মকর্তা বলেন- চট্টগ্রাম বন্দন থেকে ঠেগামুখ স্থল বন্দরে যাওয়ার জন্য সীমান্ত সড়ক নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু সড়কগুলোতে বন্য প্রাণীর করিডোর রয়েছে। সড়কগুলো নির্মাণ করার আগে বন বিভাগের সাথে পরামর্শ করার দরকার ছিলো।
এসময় তিনি বন্য প্রাণীর করিডোর সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনে বাইপাস (সড়কের উপর দিয়ে বন্য প্রাণী চলাচলের জন্য কিয়েদংশ বন তৈরি) সড়কের প্রস্তাব প্রদান করেন। তাহলে সড়ক দিয়ে যানবাহান চলাচল করবে। আর অপরদিকে সড়কের উপর দিয়ে বন্য প্রাণী নিভৃতে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবে।
বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেল) এবং ট্রান্স বাউন্ডারি ওয়াইল্ডলাইফ করিডোর প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম, আইইউসিএন এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিভ রাকিবুল আমিন, রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র, রাঙামাটি উত্তর বন বিভাগের কর্মকর্তা এএনএম আব্দুল ওয়াদূদ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, এনজিও, গণমাধ্যমকর্মী সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতম কর্মকর্তারা এ কর্মশালায় অংশ নেন।