বর্ষার শুরুতেই জন দুর্ভোগ: বাইশারী বাজারের প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা!

fec-image

পার্বত্যজেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী বাজার। জনবহুল এলাকার এই গুরুত্বপূর্ণ বাজারটি বর্ষার শুরুতেই জলবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ এখন চরমে। বাজারে প্রবেশ’র প্রধান সড়কে এমন করুন দশার কারণে পথচারীদের ও যানবাহন চলাচলে দুঃখের সীমা নাই। প্রতিদিন কোন না কোন লোক দুর্ঘটনার শিকারসহ যানবাহন বিকল হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পথচারীদের মুল্যবান জিনিসপত্র ও জামা কাপড়। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ বাজারে চলছে এখন দখল প্রতিযোগিতা।

সরজমিনেে গিয়ে দেখা যায় বাইশারী বাজারের ত্রী মোহনী চত্বর ও বাইশারী বাজারের পোস্ট অফিস চত্বর থেকে কলেজ সড়ক একটু বৃষ্টিতে হাটু পরিমান পানিতে পরিনত হয়। পানি নিঃষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও এখন ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে সরকারি ড্রেন গুলো। সড়কের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা যার যার সম্মুখ স্থান ভরাট করে নিয়ে ড্রেনেজের উপর মালামাল রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। দেখলে মনে হবে অভিভাবক শুন্য হয়ে পড়েছে এই বিশাল বাজারটি ।

সরেজমিনে বাজারের ব্যবসাী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় বাজারের যে সড়ক রয়েছে তার উভয় পার্শ্বে সরকারিভাবে পানি চলাচলের জন্য প্রায় বিশ লাখ টাকা খরচ করে ড্রনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্ত ব্যবসায়ীরা তা দখল করে জলবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে।  তাছাড়া প্রধান বাজারে ও একইভাবে ড্রেন দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসিয়েছেন। যার ফলে পুরো বজারটির অবস্থা দখলে আর দূষণের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। এসব থেকে পরিত্রাণ চাই সাধারণ জনগণ ও নিরহ ব্যবসায়ীরা। তবে বাজার পরিচালনা কমিটি এসব নিয়ে কথা বলে কারো সাথে মন খারাপ করতে চায়না বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির এক সদস্য জানান।

ক্রেতা সাধারণ সরকারি ড্রেন উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বাজার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর বলেন, আমার সাধ্য অনুযায়ী বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকারিভাবে একজন পরিচ্ছন্ন রয়েছে। বাজার কমিটির পক্ষ থেকেও একজন নিয়োগ করা হয়েছে, যেহেতু বাজার এলাকা অনেক বড়। জলবদ্ধতার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারিভাবে কিছু ড্রেন করা হয়েছিল তা এখন অনেকে দখল করেছে এবং কিছু ভরাট হয়েছে। তিনি ড্রেনের উদ্ধার ও বাকী ড্রেনেজ পুনরায় করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন