বাঙ্গালী জাতিকে মেধাশূণ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তানী বাহিনী
গুইমারা প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির গুইমারায় বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া বুদ্ধিজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিজয়ের ঊষালগ্নে মহান বিজয়ের ঠিক দু’দিন আগে হানাদার বাহিনীর দোষরদের ষড়যন্ত্রের কারণে ৭১-এর এ দিনে দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল হানাদার বাহিনী।
এটি ছিল বাঙ্গালী জাতিকে মেধাশুন্য করার অপকৌশল। কিন্তু এই অপকৌশলে তারা সফল হননি। এ নির্মমতার শোকাবহ দিনটি দেশবাসী স্বশ্রদ্ধ ও বিনম্রচিত্তে স্মরণ করেন।
তারই অংশ হিসেবে গুইমারা উপজেলা প্রশাসন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে র্যালি ও এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে গুইমারা উপজেলা পরিষদ থেকে একটি র্যালি বের হয়। পরে শহীদ মিনারে পূষ্পমাল্য অর্পণ করে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব সংক্রান্ত বক্তব্য রাখেন, গুইমারা থানা অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন টিটু, তিনি বলেন বাঙ্গালী জাতিকে মেধা শূন্য করতে গিয়ে সেই হানাদার বাহিনী আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি, বরং বাঙ্গালী আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে পর্বতের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে শেখ হাছিনার নেতৃত্বে।
এসময়ে আরো বক্তব্য রাখেন গুইমারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেমং মার্মা, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মার্মা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ম্রাসাথোই চৌধুরী প্রমুখ।
এ আলোচনা সভায় এলাকার জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ. উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে কোরান তেলোয়াত, গীতা পাঠ ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয় এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন সবাই।