বান্দরবানে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দোকানে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

fec-image

বান্দরবানের আলীকদমে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দোকানঘরে অগ্নিসংযোগ দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় তিনজন ও অজ্ঞাত আরো তিনজনসহ ছয়জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগে জানা যায়, গত ১২ তারিখ রবিবার দিবাগত রাতে পৌনে একটায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে মাধ্যমে একটি দোকানে আগের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে মধ্যে আগুন ছড়িয়ে গেলে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আঠারো লাখ টাকা।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, আমার বাবার জায়গায়কে অভিযুক্তরা নিজেদের জায়গা বলে দাবি করে দখলে চেষ্টা করে আসছিল। শুধু তাই নয় আমাদের জায়গায় ভাড়াটিয়াসহ ১৬ পরিবারে নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন অভিযুক্তরা। তার আগে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হুমকি দেন। তিনি তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠুবিচার দাবি জানান।

অভিযুক্তরা হলের, জাফর আলম (৪৭) মো. সাহাব উদ্দিন (৬০) ও তার ছেলে মো. পারভেজ (২৭), তারা নয়াপাড়া ইউনিয়নে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়া বাসিন্দা। এছাড়াও অজ্ঞাত আরো তিনজনের নাম পাওয়া যায়নি।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মৃত আব্বাছ আহামদ জীবিত থাকা সময়ে ২৮৭ নম্বর মৌজায় ১২৫ ও ২৩০নং হোল্ডিং তিন একর জমির মালিক ছিলেন। তারপর থেকে জমি ওয়ারিশরা জায়গায় বসতবাড়ী ও দোকান ঘর নির্মাণ করে বিগত ৪০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে। বর্তমানে জায়গায় ৭টি বসত বাড়ী, ১৪টি দোকান ঘর, ১টি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার (রবি) ও একটি গণশৌচাগার রয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তরা জমি তাদের পিতার বলে দাবি করে জবর দখল করার চেষ্টা ও দীর্ঘদিন যাবত ধরে হয়রানি মামলা করে আসছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে মোটরসাইকেল যোগে কয়েকজন এসে নজির মেম্বার পাড়াস্থ কালভার্টের উপর মোটরসাইকেল রাখেন। পরে অন্ধকারে জায়গা অবৈধভাবে দখল করার উদ্দেশ্যে কেরোসিন ছিটিয়ে দোকানগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে আগুন দেখে চিৎকার করে উঠেন স্থানীয়রা। এসময় অভিযুক্ত জাফর আলমসহ আরো দুইজন মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাফর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, দোকানের প্লটগুলো এবং আরো কিছু জায়গা নিয়ে তাদের সাথে আমাদের মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমরা কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।

আলীকদমে বিদ্যু বিভাগে লাইনম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, আমি নয়া পাড়া ইউনিয়ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগসহ নানা কাজ দেখাশোনা করি। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডটি বিদ্যুৎতে শর্ট সার্কিট থেকে ঘটনা নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এম কফিল উদ্দিন জানান, তিনি অগ্নিকাণ্ডের ১০মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং এটি বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট অগ্নিকাণ্ড বলে তিনি শুনেছেন।

এ ব্যাপারে আলীকদম থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটির বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় এসে অভিযোগ দিয়ে গেছে। অভিযোগটির প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। সবশেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন