বাড়িতে অগ্নি সংযোগের চাঞ্চল্যকর মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে সিআইডির চার্জশীট
পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় বসতবাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় এজাহারভুক্ত ২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) প্রেরণ করেছে সিআইডি। ২০০৯ সালে অগ্নি সংযোগের ওই চাঞ্চল্যকর মামলায় ২৬ জন আসামি ছিল।
আসামিদের মধ্যে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মানিক ও এক ইউপি সদস্যসহ ২৬ জনকে দায়ি করে তাদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় যার নং ৯২/০৯। মামলার বাদী উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বোডিং পাড়া এলাকার মৃত জোনাব আলী ছেলে মনজুর আলম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে ২০০৯ সালে ২২ জুন রাতে মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কালারপাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে হারুনুর রশিদ মানিক, রঙ্গিন খালের পূর্বকুল এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে খোরশেদ আলম, পশ্চিমকুল এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে আকতার হোসেন মদন ও সাতঘর পাড়া এলাকার মৃত.কালা মিয়ার ছেলে আব্দু জব্বারসহ একদল দূর্বর্ত্তরা মনজুর আলমের বাড়িতে হানা দেয়।
এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসামিরা তার বাড়িতে লুটপাট চালায়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তারা বাদির বসতঘরে পেট্রোল ঢেলে অগ্নি সংযোগ করে। এসময় বাদির দু’টি বসতঘর পুড়ে যায়।
সূত্রে জানায়, ওই দিন মগনামা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইফনুস চৌধুরীকে হত্যা করতে ওই দুর্বত্তরা অবস্থান নেয়। চেয়ারম্যানের প্রাণনাশ চেষ্টা চালালে তিনি দ্রুত পালিয়ে গিয়ে তার বাড়িতে আশ্রয় নেন। ওই সময় চেয়ারম্যানকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
পেকুয়া থানার এস আই আবদুর কাদির আদালতে চার্জশীট দেন। বাদি এর বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দিলে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে ন্যাস্ত করেন। সিআইডির কক্সবাজারের এস আই হাসান জাহাঙ্গীর তদন্ত শেষে সম্প্রতি মামলাটির চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় এজাহার নামীয় ২৪ জনকে চার্জশীটে অন্তর্ভুক্ত করেন।
এদিকে মামলার বাদি মনজুর আলম জানিয়েছেন, আসামীরা সিআইডির চার্জশীটের পর ফের ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তারা মামলা তুলে নিতে তাকে চাপ প্রয়োগ করছেন। মামলা তুলে না নিলে তাকে হত্যাসহ ফের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলেও বাদি অভিযোগ করেছেন।