দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

fec-image

ভোট কেন্দ্রে যেতে ভোটাদের হুমকি, বাঁধা, গুলিবর্ষণ ও জালভোটসহ নানা অভিযোগের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা।

বিএনপির পাশা-পাশি পাহাড়ের বৃহৎ আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ভোট বর্জনের কারণে খাগড়াছড়িতে সকালে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে দুপরের পর শহরাঞ্চলের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রগুলোতে জালভোটের মহোৎসব শুরু হয় বলে অভিযোগ করেন জাতীয় পাটির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা। জেলার পানছড়িতে জালভোট দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে ৬ মাস করে জেল দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অভিযোগ ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ ভোট বর্জনের পাশাপাশি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা ও হুমকি দিয়েছে।

একই অভিযোগ তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যৈপ্রু মারমার। তিনি অভিযোগ করেন ভোটারদের হুমকি ও কয়েকটি কেন্দ্রের আশ-পাশে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য গুলি বর্ষণ করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি আসনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা (সোনালী আঁশ) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তফা (আম প্রতীক)।

খাগড়াছড়ি একটি মাত্র আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬২ হাজার ৬১ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ২৮৫ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন। নতুন ভোটার ৭৩ হাজার ৬০৩ জন। খাগড়াছড়ি আসনের মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক উপজাতি।

এর আগে জেলার লক্ষ্মীছড়িতে নৌকার প্রার্থী ও পানছড়িতে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুটি হামলার ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন