বিদেশ মাতিয়ে এবার দেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘নোনা জলের কাব্য’

fec-image

রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘নোনা জলের কাব্য’। গত এক বছর ধরে নানা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব মাতিয়ে এবার সিনেমাটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে হলে দেখা যাবে ‘নোনা জলের কাব্য’। ছবিটি পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স।

গতকাল শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিলেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।

সেখানে পরিচালক তার সিনেমা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানান, দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই উঠে আসবে চলচ্চিত্রটিতে। জেলেদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কারও এই সিনেমার উপজীব্য।

‘নোনা জলের কাব্য’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া এবং তাসনোভা তামান্না। সিনেমাটির আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব।

সিনেমাটি প্রসঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘আমি এখানে চেয়ারম্যানের চরিত্রে অভিনয় করেছি। বেশ ক্যারিশমাটিক একটি চরিত্র। সিনেমাপ্রেমীদের অনুরোধ করবো হলে গিয়ে সিনেমা দেখুন।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, লন্ডন, বুসান, গুটেনবার্গ, সাও পাওলো, তুরিন, সিয়াটেল, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘নোনা জলের কাব্য’। এবার যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন COP26-এ। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিতব্য গুরুত্বপূর্ণ এই আসরে ৮ নভেম্বর আইম্যাক্স থিয়েটারে দেখানো হবে বাংলাদেশের এই চলচ্চিত্র। এই সম্মেলনে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা অংশগ্রহণ করবেন। যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এছাড়া একই শহরে জাতিসংঘের COY16 সম্মেলনে ২৯ অক্টোবর দেখানো হবে ‘নোনা জলের কাব্য’।

‘নোনাজলের কাব্য’ প্রযোজনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত ও ফরাসি প্রযোজক ঈলান জিরাদ। জিরার্দ, ‘মার্চ অব দ্য পেঙ্গুইন’, ‘গুডবাই বাফানা’, ‘ফাইনাল পোর্ট্রেট’-এর মতো বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।

সিনেমাটির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন লস অ্যাঞ্জেলসে বসবাসরত থাই শিল্পী চানানুন চতরুংগ্রোজ।

এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ছবিটির নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর হাফ স্টপ ডাউন। সম্পাদনা করেছেন আমেরিকার ক্রিস্টেন স্প্রাগ, রোমানিয়ার লুইজা পারভ্যু ও ভারতের শঙ্খ। শব্দ ও রং সম্পাদনার কাজটি হয়েছিল প্যারিসের দুটি বিখ্যাত স্টুডিওতে।

সূত্র: জাগো নিউজ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন