বিয়ের আশ্বাসে কিশোরী ধর্ষিত: ৬ দিনেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক
এম. রহমান, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বান্দরবানের লামায় এক কিশোরীকে চকরিয়া ও কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনায় মামলা দায়েরের ৬ দিন পরও দোষীদের কেউ গ্রেফতার হয় নাই। উপজেলার বৈল্লার চর এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোরীকে একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে জাফর আলী (২১) পবিত্র কোরআন শরীফ ধরে শপথ করে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে প্রতারণার আশ্রয় নিলে গত ২৩ আগস্ট লামা থানায় জাফর আলীকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভিকটিমের বড় বোন লামা পৌরসভার নয়াপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে। দুলাভাই প্রবাসী হওয়ার কারণে ভিকটিম কিশোরীটি বড় বোনের নিকট থাকত। জাফর আলী একই এলাকার হওয়ার সুবাদে মাঝে মধ্যে ভিকটিমের বড় বোনের বাসায় আসা যাওয়া করত।
এ সুযোগে সে ভিকটিম কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হলে এক পর্যায়ে পবীত্র কোরআন শরীফ ধরে শপথ করে তাকে বিয়ের আশ্বাস দিলে সরল মনে সে তাকে বিশ্বাস করে। ভিকটিম কিশোরীর এ সরলতার সুযোগ নিয়ে জাফর আলী তাকে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া ও কক্সবাজার নিয়ে ধর্ষণ করে।
ধর্ষিত কিশোরীটি প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে নিরুপায় হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এতে করে বিষয়টি তার পরিবারের জানাজানি হয়। ভিকটিমের অসহায় দরীদ্র পিতা লোক লজ্জার ভয়ে স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসা করতে চাইলে জাফর আলীর পিতা আব্দুর রহমান ছেলেকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে ভিকটিম ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করে।
এঘটনায় গত ২৩ আগস্ট ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে জাফর আলীসহ ৩জনকে আসামী করে লামা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা লামা থানা উপ-পরিদর্শক অভিজিত দাশ জানান, ইতোমধ্যেই ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে সকল ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
এদিকে, মামলা দায়েরের ৬ দিন পরও কোন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ভিকটিমের পরিবার শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে জানা গেছে।