ভূমি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রদানের সময় হেডম্যানদের আরো সচেতন হতে হবে : ইউএনও

fec-image

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেছেন, ভূমি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রদানের সময় হেডম্যানদের আরো সচেতন হতে হবে। কোন হেডম্যান ও কারবারীকে হয়রানি করা বরদাস্ত করা হবে না। যদি ভূমি অফিসের কোন কর্মচারী বা অন্য কেউ তাদের নিকট থেকে উৎকোচ বা টাকা পয়সা দাবী করে তাহলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে তাৎক্ষণিক অবহিত করার জন্য তিনি হেডম্যান কারবারীদের প্রতি আহ্বান জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিন পরিদর্শন ব্যতিত ভূমি সংক্রান্ত কোন রিপোর্ট প্রদান না করার জন্য আহ্বান জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, পাড়ার কারবারীদেরকে স্থানীয় বিরোধ মিমাংসায় আরো মনযোগী হতে হবে। পাড়ার কারবারীগণ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে স্থানীয় অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বক্তৃতার এক পর্যায়ে হেডম্যান কারবারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেউ পাহাড় কাটলে অথবা অবৈধ পাথর উত্তোলন করলে প্রশাসনকে খবর দিতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করে কেউ রেহাই পাবে না। আজ ৩ জুলাই বুধবার লামা উপজেলার হেডম্যান ও কারবারীদের ভাতা প্রদানকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি এ সকল কথা বলেন।

এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত সিদ্দিকা বলেন, হেডম্যান এবং কারবারিদের যে কোন সমস্যা সমাধানে ভূমি অফিস আন্তরিক। কোন ধরণের সমস্যায় পড়লে তাকে জানানোর জন্য সহকারী কমিশনার হেডম্যান ও কারবারিদের প্রতি আহ্বান জানান।

পরে লামা উপজেলার ১৭টি মৌজার হেডম্যান ও ১৯৫ জন কারবারীকে ১২ মাসের সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত সিদ্দিকা উপস্থিত থেকে ভাতার টাকা বিতরণ করেন।

২৮৪নং ইয়াংছা মৌজার বন্ধুকঝিরি পাড়ার কারবারী উক্যচিং, হেডম্যান পাড়ার কারবারী উহ্লাচিং, পোপা মৌজার টিয়ারঝিরি পাড়ার কারবারী অংক্যজাই, হেডম্যান পাড়ার বাম ত্রিপুরা, গজালিয়া প্রংথো পাড়ার কারবারী খ্যাইমা ত্রিপুরা জানান, বিগত দিনে ভাতা গ্রহণ করার সময় ভাতা বিতরণকারী কর্মচারী জনপ্রতি ২০০ টাকা হারে কেটে রাখত। বর্তমানে সেই নিয়ম এখন আর নেই। এখনকার কর্মচারীরা ভাতা থেকে কোন টাকা কর্তন করে রাখে না।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন