ভোগান্তির আরেক নাম লো ভোল্টেজ !

Dighinala news BB

মোঃ আল আমিন, দীঘিনালা থেকে:

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় লোডশেডিংয়ের পর লো-ভোল্টেজ প্রকট আকার ধারণ করেছে। একদিকে লোডশেডিং অন্যদিকে লো ভোল্টেজের ফলে হাসপাতালে এক্সরে মেশিন বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। বন্ধ হয়ে আছে টিভি ও রেফ্রিজারেটর। সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ থাকার পরও ব্যবহার করতে হচ্ছে মোমবাতি অথবা কেরোসিনের বাতি।

সরেজমিনে উপজেলার কবাখালী, তারাবনিয়া, কূপাপুর, বাবুছড়া, বেতছড়ি, মেরুং, জামতলী, দীঘিনালা সদর, কামুকাছড়া, তুলাপাড়া ঘুরে দেখা যায় লো-ভোল্টেজ এর চিত্র। খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ১৩৫ কিলোমিটার দূরবর্তী হাটহাজারী রিয়েল উপকেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ রিয়েল উপকেন্দ্রের আওতায় ৩ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন ৫টি উপকেন্দ্র রয়েছে। লোডশেডিং পরিচালনা করা হয় নাজিরহাট ও খাগড়াছড়ি থেকে। দীঘিনালা, লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে তিন মেগাওয়াট। হাটহাজারী থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনের কারণে ৩৩ কেভির স্থলে পাওয়া যায় ২১ কেভি।

সম্প্রতি দীঘিনালা উপজেলা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ভোল্টেজ মিটার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে ২২০ ভোল্টেজ মধ্যে উপকেন্দ্র্ইে রয়েছে মাত্র ১৭২ ভোল্ট। এদিকে মধ্যবেতছড়ি গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ থাকার পরও মোমবাতি কিনে নিয়েছি। কারণ সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের সামান্য আলোতে বাচ্চারা পড়াশুনা করতে পারে না। ছোট মেরুং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের সমস্যার কারণে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। লো ভোল্টেজে কম্পিউটার চালু হতেই বিদ্যুৎ চলে যায়।

দীঘিনালা উপকেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী যত্ন মানিক চাকমা পার্বত্যনিউজকে বলেন, ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণেই ভোল্টেজ সমস্যা হচ্ছে। ৩৩ কেভির এ উপকেন্দ্রে আমরা পাচ্ছি ২১ কেভি। এখান থেকে দুই উপজেলায় সরবরাহ হচ্ছে ১১কেভি লাইনে। সেখানে যাচ্ছে ৮কেভি। গ্রাহকরা বিদ্যুতের যে ভোগান্তি পোহাচ্ছে আমরাও একই ভোগান্তি পোহাচ্ছি! তবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য দু’ বছর সময় লাগবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন