মাটিরাঙ্গায় কিশোরী গৃহবধূর আত্মহত্যা : স্বামী আটক
মাটিরাঙ্গা সংবাদদাতা :
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নালে স্বামীর বাড়ির লোকজনের যৌতুকের দাবী পরিশোধে ব্যার্থ হয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে মাসুদা বেগম নামে এক কিশোরী গৃহবধূ। সে উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কাশেম মাষ্টারপাড়ার মো: আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে বড়নাল ইউনিয়নের কাশেম মাষ্টারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এঘটনায় নিহতের স্বামী মো: আবদুল কুদ্দুস, শশুর ও দেবরকে আসামী করে নিহতের বাবা মো: মারফত আলী আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মাটিরাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৫, তারিখ-১৩.০৭.২০১৪ইং। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী মো: আবদুল কুদ্দুসকে মাটিরাঙ্গা সদরের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে রোববার মধ্য রাতে আটক করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।
নিহত কিশোরী গৃহবধু মাসুদা বেগম‘র বাবা মো: মারফত আলী অভিযোগ করে জানান, বিগত ২/৩মাস পুর্বে উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের কাশেম মাষ্টারপাড়ার মো: মোস্তফার ছেলে মো: আবদুল কুদ্দুসের সাথে বিয়ে হয় তার কিশোরী মেয়ে মাসুদা বেগম‘র। বিয়ের পর থেকেই মোটা অঙ্কের যৌতুকের দাবীতে তার স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন মাসুদার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। যৌতুকের অব্যাহত চাপ সইতে না পেরে ঘটনার দিন রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজের ঘরেই বিষপান করে কিশোরী গৃহবধু মাসুদা বেগম।
ঘটনার প্রায় তিন ঘন্টা পর রাত ১১টার দিকে তাকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে কিশোরী গৃহবধু মাসুদা বেগম। এদিকে মাসুদা বেগম মারা যাওয়ার পর থেকেই তার স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন সপাতাল থেকে উধাও হয়ে যায়।
স্থানীয় একটি প্রভাবশারী মহল বিষয়টিকে স্রেফ আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা করছে বলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। কিশোরী মেয়ের হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত নিহত মাসুদা বেগমের দরিদ্র মা-বাবা।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাইন উদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।