মাটিরাঙ্গায় বন্ধু জুনিয়রের ব্যতিক্রমী বর্ষবরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:
নববর্ষকে বরণে যখন দেশব্যাপী চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বর্ণিল আয়োজন তখন বৈশাখের প্রথম দিনের কাঠফাটা রোদ্দুরে রিকসা টানছেন ষাটোর্ধ মনা মিয়া। ঠিক তারই পাশাপাশি ঠেলাগাড়িতে করে এ দোকান থেকে ও দোকানে মাল বহন করছেন ষাটোর্ধ মো. মতিউর রহমান। শুধু তারা নয়, তাদের মতো এমন অনেকইে কাঠ ফাটা রোদ্দুরে রিকসা বা ঠেলা গাড়ি চালাচ্ছেন। পান্তা-ইলিশ তো দুরের কথা তাদের জীবনে নববর্ষ বলতে শুধু বড় লোকদের অনুষ্ঠান।
পান্তা-ইলিশের টাকায় তৃষ্ণার্ত রিকসা চালক বা ঠেলাগাড়ী চালকদের হাতে পানির বোতল আর রজনী গন্ধার স্টিক তুলে দিয়ে ব্যতিক্রমী ভাবে বর্ষবরণ করেছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ব্যতিক্রমী সামাজিক সংগঠন ‘বন্ধু জুনিয়র’। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বন্ধু জুনিয়রের ত্রিশ জনেরও বেশি সদস্য এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। তারা একে একে শ্রমজীবী মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছে আর নববর্ষের শুভেচ্ছা হিসেবে গোলাপ ও রজনীগন্ধা তুলে দিচ্ছে। সে সাথে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য এক বোতল পানি।
এর আগে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ। এসময় মাটিরাঙা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভুইয়া তার সাথে ছিলেন।
এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সত্যিই এ কর্মসূচি মানবিক। শ্রমজীবী মানুষের কাছে নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দেয়ার মতো মহতি উদ্যোগের জন্য তিনি বন্ধু জুনিয়রকে ধন্যবাদ দিয়ে আগামীতে তাদের মানবিক কাজের সাথে থাকার ঘোষণা দেন।
বন্ধু জুনিয়রের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মো. মামুন অর রশীদ মামুন বলেন, সবাই যা করে আমরা তার ব্যাতিক্রম কিছু করার চেষ্ঠা করি। আর সে চেষ্ঠা থেকেই অযথা পান্তা-ইলিশের পেছনে টাকা খরচ না করে শ্রমজীবী মানুষের হাতে ফুল আর পানি তুলে দিয়ে বর্ষবরণ করলাম।