মাতারবাড়ী ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

fec-image

মহেশখালীর মাতারবাড়ী ৪নং ওয়ার্ডের জিশান নামের এক যুবককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উক্ত ইউনিয়নের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের হাতে ৪নং ওয়ার্ডের মৃত মৌলভী আব্দুল মজিদের সন্তান আব্দুল আল ওয়াহেদ (জিশান) কে হত্যার উদ্দেশ্যে জখম করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘাতকদের হাত থেকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত জিশানকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় ডাক্তাররা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করেন।

গত ৬ এপ্রিল বিকাল ৪টায় মাতারবাড়ী লাইন্যাঘোনা বিলপাড়া নামক এলাকায় উক্ত ঘটনাটি ঘটেছে।

উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত আব্দুল আল ওয়াহেদ (জিশান) এর বড় ভাই মোস্তফা আলী বাদি হয়ে  ১৩ এপ্রিল বুধবার ১৩ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন ১। মামুনুর রশিদ, (২০), পিতা- জকির আলম প্রকাশ বদাইয়া ২। মিজানুর রহমান (২৮), পিতা- মৃত সাহাব উদ্দিন, ৩। নজরুল ইসলাম (২০), পিতা মৃত সিরাজুল হক, ৪। মোর্শেদ হোছাইন (২৫), পিতা- শফিউল আলম প্র. নুইন্যা, ৫। কপিল উদ্দিন(৩৫), পিতা- ছাবের আহমদ, ৬। মোহাম্মদ শাহারিয়া (২৮), পিতা-মৃত নুর মোহাম্মদ, ৭। আবদুর রহিম বাচ্চু (৩৩), পিতা- শফিউল আলম প্র. নুইন্যা, ৮। আকতার হোছাইন (৪৮), পিতা: মৃত কবির আহমদ, ৯। ছৈয়দ মো. আকিব (১৮), পিতা, আকতার হোছাইন ১০। জকির আলম প্রা বাদাইয়া, (৫৫) পিতা: মৃত দলিলুর রহমান, ১১। গোলাম মোস্তাফা (৩৮), পিতা: মৃত রব্বত আলী ১২। হেলাল উদ্দিন, (৪০), পিতা: মোহাম্মদ হোছাইন, ১৩। মোহাম্মদ আলম (৫০), পিতা: মৃত রব্বত আলী সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

উক্ত হত্যা চেষ্টার মামলায় মাতারবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহারিয়ার ও সমাজসেবা সম্পাদক মোর্শেদ হোছাইন জড়িত থাকার ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোছাইন বলেন, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এতে জড়িত থাকলে আমরা স্থানীয় এমপি এবং দলীয়ভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের দ্বারা তদন্ত করব। দলীয় তদন্ত এবং পুলিশে পূর্ণাঙ্গ তদন্তে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই জানান, ১৩ জনের নামে মামলা গ্রহণ করেছি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধী আইনের আওতায় আনতে পুলিশ প্রসাশন কাজ করে যাচ্ছে।

এদীকে আহত জিশানের বড় ভাই উক্ত মামলাটির বাদী মোস্তাফা আলী জানান, জিসানের অবস্থা আশংকাজনক। ডজন খানেক কাঁচা দাঁত পড়ে গেছে, সাথে দাঁতের মাড়িও ভেঙ্গে গেছে হাতুড়ির আঘাতে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে ৭ জন সার্জনের দ্বারা গঠিত একটি টিমের দ্বারা অপারেশন করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন