মানিকছড়িতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ২ বছর পরও তালাবদ্ধ

fec-image

মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর সৈনিক মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণীয় করে রাখতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের ২ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও ভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পদভার জুটেনি! উপজেলা সদরের এক কিলোমিটার দূরে চরার কূলে এক চিলতে ঢালু জমিতে ভবন নিমার্ণ অতঃপর বেড়িবাঁধ আদলে সড়ক নিমার্ণ করে ভবন ও সড়ক আধুনিকায়ন করা সত্বেও ভবনটি তালাবদ্ধ থাকায় উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে!

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে গোদার পাড় এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক ঘেঁষা লেমুয়া খাল বা চড়ার পাড়ে এক চিলতে পতিত জমিতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দিত নকশায় ত্রিতল ভবন নিমার্ণ করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

চিহ্নত ভূমি মূল সড়ক থেকে ১০-১২ ফুট নিচু হওয়ার কারণে ভবনের প্রথম ফ্লোর রাস্তা সমান করতে গিয়ে এবং মূল সড়কের সাথে ভবনে যাতায়াত সড়কে সরকারের ব্যয় হয় অতিরিক্ত অনেক টাকা! এই বিপুল অর্থ ব্যয় সাপেক্ষে নতুন প্রজন্মদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনীয় বরণীয় করে রাখতে দৃষ্টিনন্দিত নকশায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে এগিয়ে আসে সরকার। অথচ ভবন নির্মাণের ২ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও ভবনটি ব্যবহারে আন্তরিক হয়নি সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সফিউল আলম চৌধুরী গণমাধ্যকে বলেন, বাঙালি জাতি ও মাতৃভূমি রক্ষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে পরিবার পরিজনের মায়া ত্যাগ করে নিঃস্বার্থভাবে মুক্তিযুদ্ধে শামিল হয়েছিলাম। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার আমাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় -বরনীয় করে রাখতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন। ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ২ বছর আগে! অথচ এখনো ভবনটি আমাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পদাধিকারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি রক্তিম চৌধুরী বলেন, আমি এখানে যোগদান করেছি আজ ৫ মাস। এই সময়ে একজন মুক্তিযোদ্ধাও আমাকে এ বিষয়ে কোন কিছু বলেনি। আজই ( ১৫ আগস্ট) তাঁদেরকে এলজিইডি থেকে ভবনটি বুঝে নিয়ে নতুন ভবনে শোকাবহ আগস্টের কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন