মানিকছড়িতে খালে বাঁধ দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি
মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
মানিকছড়ির ঐতিহ্যবাহী রাজবাজার-মহামুনি সড়কে খালের ওপর ব্রিজ নেই। ফলে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো বানিয়ে বর্ষাকালে জনপ্রতি ৫টাকার বিনিময়ে পথচারীদের নদী পর হতে হয়।
প্রতিদিন হাজারো পথচারী পারাপারে মোটা অংকের আয় দেখে ইউনিয়ন পরিষদ সেটিকে টোল ঘোষণা করে ইজারাও দেয়। কিন্তু বর্ষা শেষে খালে পানি থাকে না। ফলে ইজারদারদের আয়ও কমে যায়। কিন্তু টাকার লোভে ইজারাদাররা মানবসৃষ্ট বাঁধ দিয়ে খালে পানি জমিয়েছে। ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে হয়। এভাবে প্রকাশ্য মানবসৃষ্ট দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো পথচারীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকছড়ির সদর রাজবাজারটির বয়স শত বছর পেরিয়েছে। বাজারের পশ্চিম-দক্ষিণ দিক দিয়ে মহামুনি-রাজবাজার-ডাইনছড়ি-বাটনাতলী সড়ক রয়েছে। আর প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বাজার। এ সড়কের বাজার হতে মহামুনি অংশে রয়েছে ‘মানিকছড়ি খাল’। অথচ খালের ওপর ব্রিজ নেই। বাজারের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষ খাল পেরিয়ে বাজারে আসা-যাওয়া করে। বর্ষাকালে এ সড়কে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ফলে সম্প্রতিকালে মানিকছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ খালের ওই অংশকে টোল কেন্দ্র ঘোষণা করে ইজারা দেয়। ফলে ইজারাদাররা খালের ওপর সাঁকো বসিয়ে জনপ্রতি ৫টাকা টোল আদায় করছে। বর্ষা শেষে খালে পানি থাকে না। ফলে পথচারীরা চরের ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে খাল পার হয়। কিন্তু ইজারাদাররা বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। তারা মাছ ধরার অজুহাতে খালে বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে পথচারীদেরকে সাঁকো দিয়ে পারাপারে বাধ্য করছে। এতে অহেতুক প্রতি দিন হাজারো পথচারী ৫ টাকা দিতে হচ্ছে।
প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার হাটবারের দিন এ পথে ৮/১০ হাজার পথচারী আসা-যাওয়া করেন। আর এতে ইজারাদাররা হাতিয়ে নেন ৪০/৫০ হাজার টাকা। বিষয়টি জনদুর্ভোগে পরিণত হলেও জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসন কারো নজরে আসছে না। পথচারী রহিম, মংশেপ্রু, আওয়াল, স্কুল শিক্ষার্থী নূরজাহান, আমেনা ও রহিমা আক্ষেপ করে বলেন, খালে পানি নেই, তবুও ওরা বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে রেখেছে। স্কুলে আসতে ৫ টাকা, আবার বাড়ি ফিরে যেতে ৫ টাকা দিতে হচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান বলেন, এ খালের টোল কেন্দ্রটি পূর্বের জনপ্রতিনিধিরা ইজারা দিয়ে গেছেন। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কেউ যদি টোল আদায় করে তাহলে ওদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।