মানিকছড়িতে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন

fec-image

খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার খাড়িছড়া থেকে নিখোঁজ মো. আবদুল কাদের (৪৫)। নিখোঁজ হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও চা শ্রমিক পরিবহন ঠিকাদার ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৪টায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের আমতলা তিন রাস্তার মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্থায়ী কমিটি সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের, সংগঠনের আইন সম্পাদক ( কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মর্যাদা) ও লিগ্যাল কমিটির সদস্য সচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মো. আলম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক মো.আবদুল মজিদ, স্থায়ী কমিটির সহ-ভূমি সম্পাদক মো. আবদুল মালেক, এস এম মাসুম রানা, মাটিরাংগা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম, খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো.মোকতাদের হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো.জালাল আহম্মেদ, মো. জাহিদ হোসেন, মো. রবিউল হোসেন, প্রচার সম্পাদক পারভেজ আহম্মেদ, রামগড় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. নূর নবী লিডার ও উপজেলা সমন্বয়ক মো. সাহাব উদ্দিন, মো. কাউছার হোসেন, মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তব্য রাখেন,আনিসুজ্জামান ডালিম, মো. লোকমান হোসেন, এ্যাডভোকেট আলম খান ও অধ্যক্ষ আবু তাহের।

এসময় অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, পাহাড় অশান্ত করছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অস্ত্রধারী সংগঠনগুলো। আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা ওদের দোসর। এদের মধ্যে ইউপিডিএফের (প্রসীত)একটি শক্তিশালী সশস্ত্র গ্রুপ এ অঞ্চলে শক্তঘাঁটি বানিয়ে নিরীহ সাগর, ইমন ও কাদেরকে একই কায়দায়(কৌশলে) তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইমন অর্থবিত্ত ও রাজনৈতিক চেষ্টায় ছাড়া পেলেও সাগর ও কাদের এখনও ছাড়া পায়নি। সাগর অপহরণের বছর পেরিয়ে গেছে, অথচ তাকে নিয়ে এবং গত ৫ এপ্রিল রাতে অপহৃত কাদেরকে নিয়ে প্রশাসন মোটেও ভাবছেন! এই জনপদ কারও একার সম্পত্তি নয়।

এ্যাডভোকেট মো. আলম খান বলেন, পাহাড়ের একের পর বাঙ্গালি অপহরণে মনে হচ্ছে এরা মানুষ নয়। অবৈধ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাই পাহাড়ের রাজা। যদি তাই না হয় তাহলে একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক কেন সশস্ত্র ও দেশদ্রোহীদের হাতে অপহৃত হতে হবে? এর দায়-দায়িত্ব কার? প্রশাসন এর জবাব দিতে হবে। আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমাকে আইনের আওতায় আনা আজ সময়ের দাবি। আজ সময় এসেছে পাহাড়ের শান্তপ্রিয় মানুষ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দেরি হলে আজ বা কাল কাউকে না কাউকে এভাবে পাহাড় অশান্তকারী ইউপিডিএফের হাতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে অপহৃত হতে হবে, মোটা অঙ্কের বিনিময়ে মুক্তি পেতে হবে। বাঙ্গালির উপার্জিত অর্থ নিয়ে ওই সন্ত্রাসীরা আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছে। এসব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় না এনে সরকার তামাশা দেখছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কাদেরকে অক্ষত অবস্থা ফেরত দিতে হবে। না হলে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ মাঠে আসবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন