মানিকছড়িতে পুলিশের বিচক্ষণতায় ছিনতাই ঘটনায় আসামি আটক ও মালামাল উদ্ধার

fec-image

মানিকছড়ি’র মহামুনি বাসস্টেশনের ব্যবসায়ীকে অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক অস্ত্রেরমুখে টাকা ও মোবাইল ছিনতাই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছে মানিকছড়ি পুলিশ।

ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ ৪ সন্ত্রাসীকে আটকসহ ছিনতাইকৃত টাকা ও মোবাইল সেট উদ্ধারের মধ্য দিয়ে অবশেষে মামলাটি আলোরমুখ দেখল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মহামুনি বাসস্টেশনের ব্যবসায়ী মো. ছিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়া গত ১১ আগস্ট ২০১৯ তারিখ রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাতানামা ৪জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্ররমূখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৭টি মোবাইল সেট ছিনতাই করা হয়।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী বাদী হয়ে গত ১৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মানিকছড়ি থানায় অজ্ঞাতানামা ৪ সন্ত্রাসীকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার মামলা নং ২/৪৫,তারিখ ১৬.৮.২০১৯ করলে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয় এবং অভিজ্ঞ ও দক্ষ সাব ইন্সেপেক্টর কাজী মো.শাহনেওয়াজ’কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন।

মামলাটি রের্কড হওয়ার সাথে সাথে ওই দিনই (১৬ আগ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন এর নির্দেশে) তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সন্দেহভাজন যুবক মংহ্লাচিং মারমা (২১) পিতা. লাব্রেচাই মারমা, মাতা-আপাই মারমা, সাং রাঙ্গাপানি, মানিকছড়ি’কে খাগড়াছড়ি সদর থানা এলাকা থেকে আটক করা হয় এবং যুবকের স্বীকারোক্তিতে ছিনতাইকৃত মালামাল (টাকা ও মোবাইল) উদ্ধার করেন।

ওই দিনই সহযোগি অংক্যচিং মারমা (২৩) পিতা- কোলা অং মারমা, মাতা- থুই মং মারমা ও চাইলা উ মারমা (২১) পিতা- রেদা উ মারমা,মাতা- ভাদো মা, উভয় সাং- মগাইছড়ি, লক্ষ্মীছড়িকে ঘটনাস্থল মানিকছড়ি’র মহামুনির তালতলা থেকে আটক করা হয়।

অপর সহযোগি পালিয়ে থাকায় তাকে আটকের জোর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন মামলার আইও কাজী মো. শাহনেওয়াজ।

দীর্ঘ সাড়ে ৬ মাস পর পালিয়ে থাকা অপর সহযোগী সাথোয় মারমা প্রকাশ ছানি অং মারমা(২৩) পিতা- উক্ষয় মারমা, মাতা- মারু মারমা,সাং রক্তছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি’কে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে মানিকছড়ি আসার পথে গত ৪ মার্চ আটক করা হয়।

ফলে ঘটনার সাড়ে ৬মাসের মধ্যে মামলাটি পরিপূর্ণভাবে আলোরমূখ দেখল। ইত্যোমধ্যে মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন কোর্টে(আদালতে) জমা দেওয়া হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী মো. শাহনেওয়াজ এ প্রসঙ্গে বলেন, যেহেতু ঘটনাটি ছিনতাই। তাই বাদীর অভিযোগ থানার আসার পর সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন মহোদয় আমাকে মামলাটি তদন্ত করতে নির্দেশ প্রদান করেন। তাই ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করি এবং অল্প সময়েই ক্লু বের করতে সক্ষম হই।

মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই জড়িত ৩জন আটকসহ মালঅমাল উদ্ধার করতে সক্ষম হই। অপর আসামি পালিয়ে থাকায় অবশেষ গত ৪ মার্চ তাকে আটক করে মামলার রহস্য উম্মোচন করতে সক্ষম হই এবং চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করি। আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি।

এ দিকে মামলার বাদী মো. ছিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়া ঘটনার রহস্য উম্মোচন হওয়ায় স্বস্থি প্রকাশসহ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, ছিনতাই, পুলিশ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন