মানিকছড়িতে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পরিচিতি সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
খাগড়াছড়ি জেলার তৎকালীন মংরাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা মংপ্রুসাইন বাহাদুর মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পরিচিতি সভা ও শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় মংরাজ বাড়ির প্রাঙ্গণে সাবেক মংরাজ বীর মুক্তিযোদ্ধা মংরাজা মংপ্রুসাইন বাহাদুর মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কুমার সুইচিংপ্রুর উদ্যোগে আয়োজিত এ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কুমার সুইচিংপ্রু উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রয়াত মংরাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা মংপ্রু সাইন বাহাদুরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমার নানা মংরাজা মংপ্রুসাইন বাহাদুর ১৯৭১ সালে দেশের ক্রান্তিলগ্নে সরাসরি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। তিনি তার রাজ প্রাসাদে হাসপাতাল বানিয়ে আহত ও অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসার পাশাপাশি নিজের ব্যবহৃত গাড়ি, অস্ত্র ও নগদ এবং খাদ্য সহায়তা দিয়ে মুক্তিবাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘মংরাজা মংপ্রুসাইন বাহাদুর তৎকালীন মুদ্রা (ডলার) দিয়েও মুক্তিযোদ্ধাদের রশদ যুগিয়েছেন। তবে অতীব দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও এই প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার এখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি। আশা করি সরকার বিষয়টির প্রতি আন্তরিক হয়ে নানা মংপ্রুসাইন বাহাদুরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মংরাজা মংপ্রসাইন বাহাদুরের আত্মাকে শান্তি দিবেন।’
এ সময় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মংহ্লা মারমা, দৌলত আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সদস্য ডালিয়া রায়, বাদল বরণ সেন, শিক্ষক রুখ চৌধুরী ও আব্রে মারমা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সবাইকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কেটে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের পরিচিতির ব্যাপকতা ও ভবিষ্যৎ জনকল্যাণকর কর্মপরিকল্পনা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও শিশুদের নিয়ে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও নৃত্যানুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কুমার সুইচিংপ্রু ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।