মাটিরাঙ্গায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আমনে বাম্পার ফলন
অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় এবছর রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এরই মাঝে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বয়ে গেলেও ক্ষতিকর কোন প্রভাব পড়েনি কৃষিতে। সিত্রাং এর প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বরং বৃষ্টির পানিতে ফসলের উপকার হয়েছে । পোকা-মাকড়ের আক্রমণও ছিল কম। আশা করি এবার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬৬৫ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে ৪৬৯৪ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বির্স্তীণ ফসলের মাঠে সবুজ ধানে সোনালি রং ধারন করেছে। মাঠের ফসল দুলছে বাতাসের তালে তালে। যেদিকে চোঁখ যায় সেদিকেই শুধু সবুজের মাঝে সোনালি সমারোহ। কৃষকরা দুই চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে ফসলের পরিচর্যা করছেন । কিছুদিন পরেই নতুন ফসল ঘরে তুলবে । নবান্নের আনন্দে মেতে উঠবে কৃষক।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের গৌরাঙ্গ পাড়া গ্রামের কৃষক কবির আহম্মদ বলেন, এ বছর অতিকৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি না থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবার জমিতে আগাছা ও পোকা মাকড়ের আক্রমণও কম ছিল। অতিবৃষ্টি না হওয়ায় সারেরও তেমন প্রয়োজন হয়নি। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার প্রতি বিঘায় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি ফলন হবে বলে আশাবাদী তিনি। অগ্রহায়ণ মাসের আগেই তার জমির ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলার গোমতি ও বান্দর ছড়া এলাকার ব্লক সুপার ভাইজার কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আমীর হোসেন কলেন, অনুকূল পরিবেশ ও উপযুক্ত বাজার দাম পাওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসতাফিজুর রহমান জানান, আমন ধান পোকার আক্রমণে যেন ক্ষতি না হয় সে বিষয়েও কৃষি অফিস তৎপর রয়েছে। এ বছর নিয়মিত ও পরিমিত বৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমনের ভাল ফলন হয়েছে। পোকা মাকড়ের আক্রমণও তেমন হয়নি। বৃষ্টির পানি থাকলে সারও প্রয়োজন হয় কম। আবার উপকূলবর্তী জেলা না হওয়ায় সিত্রাংয়ের আঘাতেও তেমন ক্ষতি হয়নি। ফলে এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে এই উপজেলায়।