মিয়ানমারে সঙ্গীত উৎসবে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ৫০

fec-image

মিয়ানমারে সঙ্গীত উৎসবে দেশটির সামরিক বাহিনী বিমান হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলা আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার (২৩ অক্টোবর) মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের হপাকান্ত শহরে একটি সঙ্গীত উৎসবে এই বিমান হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। মিয়ানমারের নির্বাসিত একজন সাংবাদিক তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।

এছাড়া মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী ও চীনা সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনও এই বিমান হামলার তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে সেখানে বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৩০ জনের বেশি বলে জানানো হয়।

কাচিন নিউজ গ্রুপের বরাত দিয়ে সিজিটিএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের হপাকান্ত শহরে অনুষ্ঠিত একটি সঙ্গীত উৎসবে রোববার বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কাচিন জাতিগোষ্ঠীর অনেক বিনোদনকারী এবং শিল্পীসহ ৩০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন।

এদিকে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বিষয়টি সামনে আনেন মিয়ানমারের নির্বাসিত সাংবাদিক মরাট কিয়াও থু। সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ওই অ্যাকাউন্টে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় গত রাতে হপাকান্ত শহরের বিখ্যাত স্থানীয় কাচিন শিল্পী এবং কেআইএ সৈন্যসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের ৬২তম মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন।’

পরে টুইটারে দেওয়া এক সংশোধিত বার্তায় বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি বলে জানান কিয়াও থু। এতে তিনি বলেন, ‘আপডেট: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনেরও বেশি হয়েছে এবং এখনও গণনা চলছে। মৃতের সংখ্যা নিয়ে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের (কেআইও) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও প্রকাশিত হয়নি।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের কাচিন, শান-সহ বেশ কিছু প্রদেশ ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরোধিতা ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

এরপর থেকে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) ব্যাপক সংঘর্ষ হয়ে আসছে।

জাতিগত সশস্ত্র কাচিন বিদ্রোহী অধ্যুষিত এসব এলাকায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিও আগের তুলনায় বিভিন্ন সময়ই বাড়ানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নিহত, মিয়ানমার, সবিমান হামলা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন