রাঙামাটিতে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর হার
স্টাফ রিপোর্টার:
২০১৫ সালের জরিপে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় প্রার্থমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর হার ৯.৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী হার মাত্র ৪.৭৬ ভাগ। এছাড়া গত তিন বছরে রাঙামাটি জেলায় সমাপনী পরীক্ষায় পাশের হার ৯৮ভাগ। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে বসবাস করেও পিছিয়ে নেই রাঙামাটির ছেলে-মেয়েরা। বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে চলছে পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থাও। পার্বত্যাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্টীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষে সরকার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করে দিয়েছে। তাই পাহাড়ের প্রত্যান্ত ও দুর্গম আঞ্চলে পৌঁছে গেছে প্রাথমিক শিক্ষার আলো।
সোমবার সকালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সালেহ সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোস্তফা জামান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা তথ্য কর্মকর্তা কৃপাময় চাকমা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলজার আহমেদ খান, পিটিআই সুপার ছিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানস মুকুল চাকমা, প্রধান শিক্ষক সুবিনয় চাকমা, হাসান উদ্দিন সরকার, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা প্রমূখ ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোস্তফা জামান বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার মূল ভিত্তি। আর শিক্ষক হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাই প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার উপর জাতির সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। জেলা সদরসহ প্রত্যান্ত উপজেলাগুলোতেও মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্যাঞ্চলের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। যার কারণে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে পাহাড়ের শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ সময় তিনি রাঙামাটি জেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও শিক্ষা উপকরণের ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি শিশুদের অধিক বই দিয়ে তাদের উপর বোঝা সৃষ্টি না করারও পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে কর্মশালায় রাঙামাটি জেলা, উপজেলার শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।