রাঙামাটিতে ৩য় দিনেও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ত্রাণ বিতরণ
করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে পরিত্রাণের জন্য ঘরবন্দী হতদরিদ্র মানুষের মাঝে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে ৩য় দিনের মত ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
শনিবার (১১ এপ্রিল)) পৌরসভার ৬ ও ২ নং ওয়ার্ড এর ঘরবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
এসময় মানুষের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী চাল, আলু, তেলসহ আরো অন্যান্য সামগ্রী ঘরবন্দী মানুষের হাতে তুলে দেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা নামক মহামারি থেকে পরিত্রাণের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বাহির না হওয়া, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলা।
সেই সাথে আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ গণমানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেয়ার জন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা করছি। জনসমাগম এড়িয়ে যাতে হতদরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে দ্রব্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া যায় সেদিকেও আমাদের নজর আছে। তাই বিভিন্ন এলাকায় বাসায় গিয়ে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে,পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ আজ রাঙামাটি ৬নং ও ২নং ওয়ার্ড এর শহরের রূপনগর, শিমুলতলী, ফিশারী ঘাট, দেল্লাপাড়া, মাতৃ মঙ্গল এলাকায় পাহাড়ি বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের মাঝে (২০০) প্যাকেট খাদ্র সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সাব্বির আহম্মেদ,অর্থ সম্পাদক মো. সোলায়মান, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি নেতা কাজী মো. জালুয়া, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মো. হাবিব আজম, ছাত্র নেতা নাজিম আল হাসান, আমিনুল ইসলাম চুংকু, নুরুল আবছার, নুরুল আলম নুরু প্রমুখ।
সংগঠনের নেতারা জানান, ত্রাণ দেওয়া চলমান থাকবে, আগামী ২দিন ব্যাপী শহরে ও বিভিন্ন উপজেলায় কর্মহীন ও দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ চলবে। মোট ৫ দিনে ২০০ করে ১০০০ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ চলবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পার্বত্য জেলা পাহাড়ি ও বাঙালিদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে। এই দুর্যোগের সময় পাহাড়ি ও বাঙালিদের পাশে থাকবে এবং আছে। এমনকি দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সাথে আর্ত-মানবতার সেবায় এক সাথে কাজ করে যাবে বলে তারা জানান।