রাঙ্গামাটিতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

mamar.d12

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঈদ মানে আনন্দ! মুসলমানদের সবচেয়ে বড় আনন্দ হচ্ছে ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। সদর উপজেলা শহরের দোকানপাট। ঈদ আনন্দের বৃদ্ধির জন্য নতুন কাপড়, জুতা এবং প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে ক্রেতারা ভীড় করছেন।

তাই সব শ্রেণীর মানুষের নতুন কিছু একটা না হলে যেন ঈদই হয় না এবং প্রথম দিকে কেনাকাটা করলে সবকিছুই সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায় এমন ভরসায় অনেকে রোজার প্রথম থেকেই কেনাকাটা শুরু করেন। রোজার প্রথম সপ্তাহে টানা বৃষ্টির মধ্যেও দোকান ও বিপণী বিতানগুলোতে ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মত। দুই সপ্তাহ যাবৎ বৃষ্টি কমে যাওয়ায়  উপজেলা শহরের সর্বত্র ঈদের বাজার জমে উঠেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের দোাকানে ক্রেতা সাধারণের ভিড় লেগে থাকছে।

বড় বড় দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাত কোথাও কমতি নেই ক্রেতাদের উপস্থিতি। এক দোকান থেকে আরেক দোকানে নতুন কিছু কেনার জন্য ছুটছেন ক্রেতারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, নকলা উপজেলা শহরের সর্ববৃহৎ কাপড়ের দোকান আকন্দ ক্লথষ্টোরে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। পর্যটন শহর রাঙ্গামাটির রিজার্ভবাজার, তবলছড়ি, বনরূপাসহ প্রায় সব মার্কেটই ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।

তবে জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের পছন্দের জিনিস ক্রয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঈদের শপিং করতে আসা বেশিরভাগ ক্রেতা জানিয়েছেন গত বছরের চেয়ে এবার কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশি।

কিন্তু দাম বেশি হলেও যে যার সামর্থ অনুযায়ী পছন্দের পোশাক কিনে বাড়িতে ফিরছেন।  রাঙ্গামাটি শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র বনরুপার বিএম শপিং কমপ্লেক্স, আলিফ মার্কেট, আইসিআর সুপার মার্কেট, মোহাম্মদীয়া মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছে।আর মাত্র কয়কদিন পর ঈদ। দাম যা হোক সামর্থ্য অনুযায়ী কমবেশি কিছু না কিছু কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

শপিং মলগুলোর দোকানগুলোতে রয়েছে নতুন ফ্যাশন ও আধুনিক ডিজাইনের পোশাক ও অলংকার সামগ্রি, মহিলাদের নানা বাহারি শাড়ি, কাতান, ব্লক, জামদানি, ভারতীয় কারচুপি নেট, টিসু, কোটা ও মসলিনের শাড়ি, থ্রিপিস, ফতুয়া, ছেলেদের আকর্ষণীয় পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, বাচ্চাদের নানা ডিজাইনের পোশাকশপিং মলগুলোর দোকানগুলোতে রয়েছে নতুন ফ্যাশন ও আধুনিক ডিজাইনের পোশাক ও অলংকার সামগ্রি, মহিলাদের নানা বাহারি শাড়ি, কাতান, ব্লক, জামদানি, ভারতীয় কারচুপি নেট, টিসু, কোটা ও মসলিনের শাড়ি, থ্রিপিস, ফতুয়া, ছেলেদের আকর্ষণীয় পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, বাচ্চাদের নানা ডিজাইনের পোশাক। উচ্চবিত্তরা সবাই ঈদের কেনাকাটা করতে বন্দর নগরী বা বিভাগীয় শহরে যাচ্ছেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকে মনে করছেন বড় শহরে কম দামে কেনাকাটা করতে পারবেন।

বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি এবার বেশ ভালো। মার্কেটগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশী প্রহরা রয়েছে। ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করছেন।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন